সাভারের আশুলিয়ায় জনমানবহীন এলাকার পরিত্যক্ত কুয়া থেকে পোশাক শ্রমিকের গলিত লাশ উদ্ধারের ৮ ঘন্টা পর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাব ৪। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের কাছে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা।
শুক্রবার(২১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় আশুলিয়ার নবীনগরে র্যাব ৪ ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
এর আগে বৃহস্পতিবার(২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ টায় আশুলিয়ার শ্রীখন্ডিয়া গ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গলিত হওয়ায় নিহতের মুখাবয়ব দেখে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিলনা।
নিহত পোশাক শ্রমিক আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় ভাড়া থেকে আর.কে ২ পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। গত ১১ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পলি ঝালকাঠি জেলার সদর থানার পুঞ্জিপুতি গ্রামের হাশেম মিয়ার মেয়ে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হল, শেরপুর জেলার কামারেরপুর গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল ইসলাম(৪২)। তার বন্ধু রিক্সাচালক ঝালকাঠি জেলার সামিউল(৩২) ও টাঙ্গাইল জেলার সাইফুল(৪৯)। সকলেই আশুলিয়ায় ভাড়া থাকতেন।
র্যাব জানায়, রেজাউলের দুই স্ত্রী রয়েছে। স্ত্রী সন্তানসহ পলির বাসা টঙ্গাবাড়ি হাকিমপট্টি এলাকার পাশেই বসবাস করত। পেশায় তিনি চায়ের দোকানদার। রেজাউল ও পলির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। রেজাউলের স্ত্রী এ বিষয় জানতে পারে। পলি রেজাউলকে বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। পরে তাদের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয়। পরবর্তীতে বন্ধু সাইফুল ও সামিউলের সহায়তায় রেজাউল পলিকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
র্যাব জানায়, গত ১১ অক্টোবর থেকে যেহেতু স্থানীয় পোশাক শ্রমিক পলি নিখোঁজ ছিল তাই লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা প্রথমে পলির পরিবারকে জানায়। পরে লাশ উদ্ধারের পর এ হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব ৪।
র্যাব ৪ এর এএসপি মাজহারুল ইসলাম বলেন, গত ১১ অক্টোবর রাতেই বিয়ে করার কথা বলে পলিকে ডেকে নেয় রেজাউল। বন্ধুদের সহায়তায় পরবর্তীতে নির্জন স্থানে নিয়ে পলিকে গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা করে। পরে হত্যা নিশ্চিত করতে ছুঁড়ি দিয়ে জবাই করে কুয়ায় লাশ ফেলে দেয়। এরপর থেকে যে যার মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিল। এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।