দিনাজপুরের পার্বতীপুরে উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উদ্দিনের বাড়ীতে এক বর্বরচিত হামলায় সেলিম উদ্দিনসহ তাঁর স্ত্রী, পুত্র ও নাতী-নাতনীরা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা সেলিমকে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ এ হামলা চালিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তিযোদ্ধার নিজ বাসভবনে বড় ছেলে মোঃ শিহাব উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্যে জানান, ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর বাড়ীর সন্নিকটস্থ হলদীবাড়ি রেলগেট থেকে তার ছোট ছেলের সাথে প্রতিপক্ষরা গায়ের জোরে তর্কে-বিতর্কে জড়ায় এবং সেখান থেকে লোহার রড, লাঠি সোঠা নিয়ে তার দোকানের সামনে জনৈক মকবুল হোসেনের কাপড়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় তার বৃদ্ধ পিতা সেলিম উদ্দিনের উপর প্রতিপক্ষীয় সংঘবদ্ধ দলটি ঝাপিয়ে পড়ে এবং উপর্যোপরি লাঠি সোঠা ও রডের আঘাতে মাঠে লুটিয়ে দেয় ঐ মুক্তিযোদ্ধাকে। বলা হয়েছে, এসময় গোলজার হোসেন, জনাব আলী ও তার আরো দুই ভাইয়ের নেতৃত্বাধীন দলটি বাড়ীতে ও দোকান ঘরে আক্রমন চালিয়ে লুটপাট করে। এসময় তারা বাড়ীতে অগ্নি সংযোগের চেষ্টা চালালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে তার ছেলের পিছনে হাত বাধা ও ধরাশয়ী হওয়া বৃদ্ধ পিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান শিহাব উদ্দিন আরো জানান, প্রতিপক্ষ সংঘবদ্ধ দলটি বৃহৎ কোন শক্তির প্ররোচনায় এ হামলা চালাবার শক্তি সাহস দেখিয়েছে। এতে তাদের দোকানের ৯০ হাজার ৩’শ টাকা ও পিতার পকেটে থাকা ২৭ হাজার ৫’শ টাকা খোয়া গেছে। খবর পেয়ে পার্বতীপুর মডেল থানা থেকে যারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে মডেল থানার তদন্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান, এসআই মাসুদ রানা ও এসআই দিনেশ চন্দ্রের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ঘটনায় পার্বতীপুর মডেল থানায় ১৭ অক্টোবর জিডিসহ ১৯ অক্টোবর রাতে একটি মামলা দায়েরের অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা হলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ দায়ের হয়েছে, মামলা হবে ইনশাআল্লাহ্।