ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সুমন ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল বিজয়ী
- ভেনিস প্রতিনিধি:
-
২০২২-১০-১৭ ০৯:৪০:১০
- Print
হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, শৃঙ্খলা বিশৃঙ্খলায়, ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ হলেও ফল ঘোষণার পরে পরাজিত প্রার্থীদের ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া.
বিজয়ী হয়েছেন সুমন সভাপতি, সোহেল সাধারণ সম্পাদক
ইতালির ভেনিসে বসবাসকারী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ অক্টোবার, রোববার স্থানীয় শহর মেসত্রের ঢাকা বিরানি হাউজ রেষ্টুরেন্ট এর মিলনায়তনে স্থানীয় জনতার উপস্থিতিতে ভোটগ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশ করেন আহবায়ক পলাশ রহমান।
সকাল ন'টা থেকে শুরু হওয়া ভোট গ্রহণ চলে দুপুর একটা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ভেনিস বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সকল সদস্য তাদের ভোট প্রদান করেছেন (দুজন ফোনে তাদের ভোট প্রদান করেছেন)।
স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সে গ্রহণ করা ভোটে যমুনা টিভি ও কালের কন্ঠ পত্রিকার ইতালি প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন ১৮ ভোট পেয়ে আগামী দুই বছরের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সময় টিভির ভেনিস প্রতিনিধি মাকসুদ রহমান পেয়েছেন ১৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাভিশনের ইতালি প্রতিনিধি মোহাম্মদ উল্লাহ সোহেল ২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আর টিভির ইতালি প্রতিনিধি মোহাম্মদ আসলামউজ্জামান পেয়েছেন ১২ ভোট।
অর্থসম্পাদক পদে একাত্তর টিভির সাবেক প্রতিনিধি জুম্মন অনিক বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কমিউনিটিতে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে; প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ফ্যাক্টর হিসেবে সামনে আসছে বিভিন্ন সমীকরণ।
তার মধ্যে অন্যতম রাতারাতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের পরিবর্তন। এখানে উল্লেখ্য যে দীর্ঘদিন থেকে পূর্বনির্ধারিত সময় সকাল 11 টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবার কথা থাকলেও, কিছু সংখ্যক ভোটার, ভোট গ্রহণের পূর্ব নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোট প্রয়োগ করেছেন।
এতে করে কমিউনিটির কিছু নেতৃবৃন্দ ও পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে অসন্তুষ্টি প্রকাশ পেয়েছে। পরাজিত প্রার্থীদের একজন এই প্রতিনিধিকে জানান সময়ের পরিবর্তনের খবর উনি আগে থেকে অবহিত ছিলেন না।
তার আগে ভোট চলাকালীন সময়ে আমন্ত্রণ পত্র কে কেন্দ্র করে তরুণ নেতৃবৃন্দের মধ্যে হইচই শুরু হয়ে যায়। বড় আকারে বিশৃঙ্খলা শুরু হওয়ার আগেই সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে স্থানীয় পুলিশ এসে সবকিছু শান্ত দেখতে পান।
ভোট চলাকালীন সময়ে পর্যবেক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কম্যুনিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- শাজাহান কবির ইদ্রিস, নান্নু সরদার, আবদুল মান্নান, আবদুল আজিজ সেলিম, সৈয়দ কামরুল সরোয়ার, বিল্লাল হোসেন মেম্বর, জব্বার মাঝি, কাজী আবদুল মান্নান, রিটন ঢালি, আমিনুল হাজারী, ছৈয়াল মোস্তফা (কালু ), শাহাদৎ হোসেন, কাজী রওনাক, তাজুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, প্রমূখ।