ঢাকা রবিবার, এপ্রিল ২৮, ২০২৪
নরসিংদীতে যাত্রীবেশে ছিনতাই,৪ গ্রেফতার
  • হাজী জাহিদ, নরসিংদী
  • ২০২২-১০-১৭ ০৬:৫৮:০৩
নরসিংদীতে আলোচিত ব্যাংকার ও ডাক্তারকে যাত্রীবেশে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে সর্বস্ব ছিনতাইসহ এটিএম কার্ডের মাধ্যমে বুথ থেকে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় জড়িত চার আসামীকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ সোমবার দুপুরে এই তথ্য জানিয়েছেন নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আল আমিন। এর আগে রবিবার রাতে গাজীপুর জেলার গাছা থানার গাছা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, লুণ্ঠিত ৭০ হাজার টাকা, ২টি ছুড়ি, ১টি কচস্টেপ রোল ও ১টি গামছা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- বরগুনার আমতলী থানার বলই বুনিয়া গ্রামের মাজেদ মৃধার ছেলে মোঃ নজরুল মৃধা (৩৩), দিনাজপুরের চিরিবনন্দর থানার দক্ষিণ নগর গ্রামের (বিন্যাকারী) সৈয়দ আলীর ছেলে মোঃ রাজ্জাক (২৪), ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার রাধাকানাই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে মোঃ তারেক মিয়া (২১) ও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার রানীপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২২)। তাদের মধ্যে তিনজন গাজীপুর ও একজন সাভারে ভাড়া বাসায় থাকতেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আল আমিন জানান, গত ১০ সেপ্টেম্বর পূবালী ব্যাংকের কর্মকর্তা আল মামুন ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড় হতে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি প্রাইভেটকারে উঠে। এসময় ওই প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে ড্রাইভারসহ মোট চারজন ছিনতাইকারী ছিল। কিছু দূর আসার পর একজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী ব্যাংক কর্মকর্তা আল মামুনকে বলে যে, তাহার বমি বমি লাগছে, তাকে একটু সাইটে বসতে বলে। পরে তিনি সরল বিশ্বাসে ওই যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীকে সাইটে বসতে দিয়ে বাদী মাঝের সিটে চলে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পরে আল মামুনের হাত পা, চোখ বেধে ফেলে হত্যার হুমকি দিয়ে বাদীর সাথে থাকা মানিব্যাগ, নকিয়া মোবাইল ফোন ও পূবালী ব্যাংকের এটিএম কার্ড এবং জোর পূর্বক কার্ডের পিন নাম্বার নিয়ে সর্বমোট ১ লাখ ৯১ হাজার উত্তোলন করে। পরে নরসিংদীর বাবুর হাটের শেখেরচর বাজার এলাকার এক্স হোটেল থেকে ১০০ গজ দূরে ঢাকার দিকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে আনুমানিক রাত ১২টা ১৫ মিনিটের সময় আল মামুনের হাত পা চোখ মুখ বাধা অবস্থায় রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ১৯ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানার আল মামুন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে গত সাত সেপ্টেম্বর রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে জেলা ভেটেনারী হাসপাতালে কর্মরত ডা. হেলাল আহমদ তার পারিবারিক প্রয়োজনে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া যাওয়ার পথে ইটাখোলা থেকে একটি প্রাইভেটকারে উঠেন। এসময় ওই প্রাইভেটকারে থাকা ড্রাইভারসহ চারজন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে মাঝখানে থাকা এক জন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী বমি করবে বলে জানালার পাশে গিয়ে বাদীকে মাঝখানে বসিয়ে জোর পূর্বক নগদ ৬ হাজার টাকা, একটি ফাইভ এস আইফোন মোবাইল এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এটিএম কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে একটি এটিএম বুথ থেকে এক লাখ উত্তোলন করে নিয়ে যায়। পরে রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় ডা. হেলাল আহমেদকে বেলাবো থানাধীন নারায়নপুর এলাকায় রাস্তার পাশে চোখ বাধা অবস্থায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় ডা. হেলাল আহমদ বাদী হয়ে শিবপুর মডেল থানার একটি মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, এ দুই ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ প্রায় ৪৮টি সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পর্যবেক্ষন সহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে ১৬ অক্টোবর ঘটনার সাথে জড়িত সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দলের চার সদস্যকে গাজীপুরের গাছা থানাধীন গাছা পূর্বপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, প্রথম ঘটনায় জড়িত পলাতক আসামী মো: জুয়েল হাওলাদার অন্য একটি ছিনতায়ের ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানায় গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছে তাহার নামে চুরি, ডাকাতি, ছিনতায়ের চারটি মামলা রয়েছে। আসামী জুয়েল হাওলাদারকে অত্র মামলায় শীগ্রই শোন এ্যারেস্ট দেখানো হবে। গ্রেফতারকৃত আসামী নজরুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে চারটি মামলা ও আসামী রাজ্জাকের বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর  অভিযানে ৩৪ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-০১
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরে শিশু মিরাজ কাজী হত্যা মামলায় দাদা মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
সর্বশেষ সংবাদ