ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
বাবার নাম দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার গেজেটের অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশ হবে আশা ছেলেদের
  • সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
  • ২০২২-০৯-২৫ ০৯:১৫:৩৩
দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ৭ নং সেক্টরের অধীনে দিনাজপুরের শিববাড়ি যুব শিবির সংযুক্ত হামজাপুর অপারেশন ক্যাম্পে রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জিল্লুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মরহুম মুক্তিযোদ্ধার ছেলেরা এখনো বাবার মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতির আশায় দিন গুনছেন। আশার খবর হচ্ছে জামুকার ৮০ তম সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ক, খ, ও গ তালিকার সুপারিশকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ করার লক্ষ্যে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা ও মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের কাগজপত্র ও প্রমাণ সহ আবেদন চেয়েছেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা দিনাজপুর জেলার চিনিরবন্দর উপজেলার সাইতারা ইউনিয়নের খোঁচনা গ্রামের মরহুম মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানের ছেলেরা প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র এবং প্রমাণাদি অনলাইন সহ অফলাইনে প্রেরণ করেছেন। একাধিকবার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও সম্পূর্ণ হয়েছেন। এখন মৃত বাবা জিল্লুর রহমান কে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার আশায় দিন গুণছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমার বাবা গত ২৭ ডিসেম্বর ২০০১ সালের স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর আমার মা জহিমা বেগম আমার বাবার কে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্যও অনেক দিন পর্যন্ত বিভিন্ন দপ্তরে দারস্ত হয়েছেন। গত দুই বছর আগে আমার মাও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান। আমার বাবা আমরা তিন ভাই, তিন বোনকে রেখে তার মুক্তিযোদ্ধার সমস্ত কাগজপত্র হাতে দিয়ে বলেন, আমি তোমাদেরকে কিছু দিতে না পারলেও তোমার বাবার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি স্বরূপ যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তোমাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম তোমরা এই কাগজপত্র সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে প্রদর্শন করে সরকারের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আমার নামটি অন্তর্ভুক্ত হলেই আমি মরেও শান্তি পাবো এমনটাই তিনি বলে গিয়েছেন। আমার বাবার সেই কথা রাখার জন্যই আমাদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকসহ মুক্তিযোদ্ধার যাচাই বাছাই কমিটির একাধিকবার কাগজপত্র যাচাই ও আমার বাবার সহযোদ্ধারাও অনেক সুপারিশ করে গিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আমি মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জমুকায় যোগাযোগ করে আমার বাবার সমস্ত মুক্তিযোদ্ধার কাগজ প্রদর্শন ও যাচাই বাছাই করে সফলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আশা করছি। আমার বাবার মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের নাম অন্তর্ভুক্ত হবে এমন প্রত্যাশা করছি। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জামুকা ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় প্রেরণ করেছি কর্তৃপক্ষ আশা করছি আমার বাবাকে চূড়ান্ত মুক্তিযোদ্ধায় তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করবে খুব শীঘ্রই।
পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত