হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার বেড়েছে
- মুসা মিয়া, হিলি (দিনাজপুর)
-
২০২২-০৯-২৩ ১৩:০৯:০৬
- Print
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে দিনাজপুররের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার বেড়েছে।এর মধ্যে সনাতন ধর্মাম্বলীর সংখ্যা বেশি।শারদীয় দুর্গোৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে,যাত্রীদের আসা-যাওয়াও তত বাড়ছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই রুট দিয়ে পাসপোর্টে যাত্রী পারাপার বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদিউজ্জামান।
গত ২ বছর মহামারি করোনা’র কারণে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বন্ধ ছিলো।এবারে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকায় হিলি ইমিগ্রেশন দিয়ে দুর্গাপূজা শুরু আগে দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার দ্বিগুন বাড়তে পারে। যাত্রীরা বলেন,দেশের ২য় স্থলবন্দরে রেল যোগাযোগ ভালো না,নাম মাত্র কয়েকটি ট্রেন দাড়ায়। রেল যোগাযোগ ভালো হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার আরও বৃদ্ধি পাবে এই পথ দিয়ে।
হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাবার অপেক্ষায় থাকা যাত্রী গীতা চন্দ্র বলেন,করোনা মহামারীর কারণে গেলো দুই বছর ভারতে মাসি-পিসিদের সঙ্গে একসঙ্গে পূজা করা হয়নি। তাই এবার আর সুযোগটা হাত ছাড়া করতে চাই না। মাসি-পিসি আর তাদের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে পূজার আনন্দটাই আলাদা। তাই যাচ্ছি।
আরেক যাত্রী ঐশী মুর্খাজী বলেন,বড় দিদির বিয়ে হয়েছে ভারতের দক্ষিণ দিনাজপুরে। পুজোয় তাদের সঙ্গে আনন্দ করতে দিদির কাছে যাচ্ছি।পুজো শেষে ফিরে আসবো।
এছাড়া কেউ যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য,কেউ যাচ্ছেন ভ্রমণে।কেউ বা ব্যবসা সংক্রান্ত কাজে। তবে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে যাতায়াতকারী যাত্রীর সংখ্যায় বেশি। আবার অনেকে বাংলাদেশে আসছেন পুজোর পাশাপাশি আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে। তাদের সংখ্যাও কম নয়।
ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী মঙ্গল দত্ত বলেন,প্রতি বছরই ভারতে দুর্গোৎসব উৎযাপন করি।তাই এবার কাকা-কাকিদের সঙ্গে পুজো করতে বাংলাদেশে এসেছি। এবার যশোরে কাকা-কাকি ও কাজিনদের সঙ্গে উৎসব করবো। কাকা-কাকিদের সঙ্গে অনেকদিন দেখা-সাক্ষাৎ হয় না। তাদের কাছ থেকে আশীর্বাদও নেওয়া হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বদিউজ্জামান বলেন, সনাতন ধর্মাম্বলীদের বড় ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে কয়েকদিন ধরে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত বেড়েছে। গোলো মাসে এই রুট দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ২৫০ জন যাতায়াত করতো।বর্তমানে সেই সংখ্যা ৫০০-এর কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে। আরও কয়েক বাকি আছে দুর্গাপূজার।যাত্রী পারাপারের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করেন তিনি।