ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে কাদের খানের বক্তব্যের প্রতিবাদে ভোলায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন
  • মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
  • ২০২২-০৯-০২ ১৪:১১:৩৭
সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠনক শামসুদ্দিন আহমেদকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করায় ভোলায় ক্ষোভ। আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা শাসমুদ্দিন আহমেদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে মিথ্যাচার করার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ সহসভাপতি কাদের খানের বিচার দাবি করে ২ সেপ্টেম্বর ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি দোস্ত মাহামুদ সহ মুক্তিযোদ্ধারা। ঢাকায় মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শোকাবহ ১৫ আগষ্টের অনুষ্ঠানে উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খানের বক্তব্যকে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্পকাহিনী বলে অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে দোস্ত মাহামুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কাদের থান ভোলা কলেজের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকান্ডে তিনি জড়িতও ছিলেন না। ৭৬ / ৭৭ সালের দিকে তিনি ঢাকায় যান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের আগের দিন তিনি কি করে ৮/১০ হাজার ছাত্রদের মধ্যে ব্যাজ ও লিফলেট বিতরণ করেছেন। তা ছাড়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন রাতে দোস্তমাহামুদের পিতা শামসুদ্দিন আহমেদ ছিলেন, ভোলার অভিভাবেক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদের ঢাকার বাড়িতে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার খবর পেয়ে ভেঙে পড়েন তোফায়েল আহমেদ। ছটফট করছিলেন। আর প্রতিরোধ গড়ার জন্য বিভিন্ন স্থানে ফোন করছিলেন। অথচ এবার মহানগর আওয়ামী লীগের ১৫ আগষ্ট অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কাদের খান তার বক্তব্যে বলেন, চাচা শামসুদ্দিন আহমেদ ছিলেন, হোটেলে। তার সঙ্গে দেখা করে তিনি তোফায়েল আহমেদ কি করছেন, তা দেখার জন্য রিকসা চালক সেঁজে তোফায়েল আহমেদের বাড়ি যান। কাদের খানের ওই বক্তব্যকে মিথ্যাচার ও বানোয়াট উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সময়ের মেধাবী ছাত্র এ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই সময় ও ওই দিন কাদের খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন হলেই ছিলেন না। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ সফিকুল ইসলাম জানান, দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি পেতে কাদের খান এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে বক্তৃতা করেন। মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শোকাবহ ১৫ আগষ্টের অনুষ্ঠানে উত্তর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাদের খান তার বক্তব্যে মিথ্যাচার করেছেন। সে তখন ভোলাতে ছিলেন। অথচ সে বললো সে ঢাকাতে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরের দিন ক্যাপ্টেন মাজেদ তোফায়েল আহমেদকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসায় যায়। তখন ভোলার মুক্তিযোদ্ধের অন্যতম সংগঠন শামছুদ্দিন আমমেদ সামনে এসে দাড়লে ক্যাম্পেন মাজেদ তার প্রতি সম্মান রেখে আর সামনে আগায়নি। পরে তোফায়েল আহমেদ এর পিএস মিন্টুকে দড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর পরে তোফায়েল আহমেদ কে বন্দি করে জেলে পাঠানো হয়। মূলত শামচ্ছুদ্দিন কাকার জন্য তোফায়েল আহমেদ প্রাণে বেচেঁ যায়। তা নাহলে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সাথে তোফায়েল আহমেদকে প্রাণ দিতে হতো। অথচ কাদের খান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে রাজনৈতিক সুবিধা নিতে মুক্তিযোদ্ধা শাসমুদ্দিন আহমেদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। সংসাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আশরাফ হোসেন লাভু, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রফিকুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সহ-সভাপতি মজিবুর রহমান, অধ্যক্ষ সাফিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগ সাবেক দপ্তর সম্পাদক সামসুদ্দিন সামছুসহ অর্ধশতাধিক মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
পুলিশের অসাদাচরনের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
 শিশু রুকাইয়া রহমান আনহাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন
নীলফামারীর চিলাহাটিতে পেকিন হাঁস  পালন বিষয়ক খামার দিবস অনুষ্ঠিত