ঢাকা শুক্রবার, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
দিনাজপুরে বাকপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
  • ২০২২-০৮-২৫ ০৭:৪৬:৩৮
দিনাজপুরে বাক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় ধর্ষক তপন চন্দ্র রায়( ৪২) কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরো দশ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করেছে নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল আদালত। অর্থ অনাদায় আরো তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক শরিফ উদ্দিন আহমেদ এই রায় প্রদান করেন। ধর্ষক তপন চন্দ্র রায় দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার অসুর কোর্ট মেম্বার পাড়া গ্রামের শচীন চন্দ্র রায়ের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় ধর্ষক তপন চন্দ্র রায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে গত ১৮ মার্চ ২০১৯ পার্বতীপুর উপজেলার বাক প্রতিবন্ধী (সাবিত্রী রানী) ছদ্মনাম কিশোরী বাবার বাড়ি থেকে খালার বাড়ি একই উপজেলার অসুর কোট মেম্বার পাড়া গ্রামে বেড়াতে যায়। খালার বাড়িতে আসার পরের দিন খালা বাক প্রতিবন্ধী ভাগিনি কে বাড়িতে একা রেখে খালাসহ তার পরিবারের অন্যান্য লোকেরা কাজের জন্য বাহিরে যায়। এই সুযোগে ধর্ষক তপনচন্দ্র রায় বাড়িতে একা থাকা বাক-প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের ঘটনা বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী তার খালা সহ আত্মীয়স্বজনেরা বাড়িতে ফিরে আসলে আকার ইঙ্গিতে ধর্ষণের ঘটনা বর্ণনা করেন। ধর্ষণের পর বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী তার অবস্থার অবনতি হলে পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মাধ্যমে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেন্সি বিভাগে পরীক্ষা করার পর নিশ্চিত হওয়া যায় যে মেয়েটি ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। পার্বতীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নাম্বার জিআর ৪৪৫/১৯। রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর( পিপি) অ্যাডভোকেট তৈয়বা বেগম বলেন গত তিন বছর আগে এই মামলাটি দায়ের করা হলেও দেশের সহ বিশ্বে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় আদালত বন্ধ থাকায় ধর্ষণ মামলার রায় পেতে একটু বিলম্ব হয়েছে। তবে এই মামলায় রায় পেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সহ মামলার বাদিপক্ষ সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছি। বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা করে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে যে বাকপ্রতিবন্ধী মেয়েকে তপন চন্দ্র রায় একাই ধর্ষণ করেছে। আসামিপক্ষের অ্যাডভোকেট আহমেদ মন্ডল বলেন, আমার মক্কেল সুবিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা অবশ্যই সুবিচারের আশায় উচ্চ আদালতে এই বিষয় আপিল করা হবে। রাষ্ট্রপক্ষ কোনোভাবেই এই মামলা প্রমাণ করতে পারেনি যে আমার মক্কেল ধর্ষণের সাথে জড়িত ছিল।
শ্রমিকদের ধর্মঘটে অচল আশুগঞ্জ নদী বন্দর
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গণপিটুনিতে  একজনের মৃত্যু
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতকে সকল সুবিধা দিত হাসিনা:  আলতাফ হোসেন চৌধুরী