ভোলায় সর্ব্বোচ ৯১ সেঃমিঃ জোয়ার, নিম্মাঞ্চল প্লাবিত
- মোঃ জহিরুল হক, ভোলা
-
২০২২-০৮-১৪ ১০:৪৬:০৪
- Print
ভোলা টানা ছয়দিন ধরে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলের দিকে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৯১ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভোলা জানায়, এটি এ মৌসুমের সর্বোচ্চ জোয়ার। এর আগে এ মৌসুমে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ছিল।
পাউবো ভোলা আরও জানায়, ২০২০ সালের পর টানা দুবছর পর মেঘনার পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। আর পূর্ণিমার জোর প্রভাবে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ গ্রামের অন্তত ৪০ হাজার মানুষ। জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে আমনের বীজতলা। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
পানিতে রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়িসহ বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগ পড়েছে মানুষজন। জেলার নিম্মাঞ্চলের বাঁধের বাইরের রাজাপুর, ধনিয়া, কুকরি-মুকরি, মদনপুর ঢালচর ও চর পাতিলা, চর নিজামসহ ২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
জোয়ারের চাপে রাজাপুর ইউনিয়নের পাঁচটি পয়েন্ট দিয়ে রাস্তা এবং ইলিশা ইউনিয়নের আটটি পয়েন্ট দিয়ে বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে প্রবল জোয়ারে দালাল বাজারসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে বাঁধ ঝুঁকিতে পড়েছে। আমরা দ্রুত বাঁধ সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ভোলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, এ মৌসুমে সর্বোচ্চ জোয়ার বইছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।বেরীর বাহিরের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।