ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
রাঙ্গামাটিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে উষাতন তালুকদার
  • পলাশ চাকমা, রাঙামাটি
  • ২০২২-০৮-০৯ ০৮:০৩:১৫
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এবং রাঙ্গামাটি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না বিধায় পাহাড়ে নানাবিধ সমস্যা হচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ নিরাপদে-নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে না। পাহাড়ীরা আজকে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছে। শুধু সরকারের উপর ভরসা করে নয় নিজেদের অধিকার নিয়ে নিজেদেরই এগিয়ে যেতে হবে। আমি হাজারবার আদিবাসী দাবি করতে পারি, যতক্ষণ পর্যন্ত সংবিধানে স্বীকৃত না হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালেও আদিবাসী স্বীকৃতি দিয়ে বাণী পাঠিয়েছিলেন। দীপুমনি (শিক্ষামন্ত্রী) কয়েকবার আমাদের মিছিলেও ছিলেন। যখন বিরোধীদলে থাকা হবে তখন আদিবাসী বলা যাবে। আর যখন সরকারি দলে যাওয়া যাবে তখন আদিবাসী বলা যাবে না। এটা কেমন বিবেক, কেমন আইন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস-২০২২ উদযাপন কমিটি রাঙ্গামাটি ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে নড়াইলে হিন্দুদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হলো। নড়াইলের কয়েকজন ভিকটিম আমাদের জানিয়েছে, যারা টাকা দিতে পেরেছে তাদের ঘরে আগুন দেয়নি। আর যারা টাকা দিতে পারেনি তাদের ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে। সরকারের দায়িত্ব সংখ্যালঘুদের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু হিন্দুরা এখন ভারতে চলে যাচ্ছে। পাহাড়ের মানুষ এখন দুপাড়ে পা দিয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের অধিকার আদায় করা হবে । দ্রুত চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিও জানান তিনি। আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য মাধবীলতা চাকমা। উদ্বোধন শেষে একটি নৃত্য পরিবেশন করা হয়। উদ্বোধনের আগে দেশাত্মবোধক কবিতা, গান ও পাহাড়িদের ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, এমএন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসী লেখক ফোরামের সাবেক সভাপতি শিশির চাকমা ও সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ানসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা। এসময় বক্তারা বলেন, রাষ্ট্র আমাদের আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে না চাইলেও জাতিসংঘ আমাদের আদিবাসী স্বীকৃতি দিয়েছে। আমাদের নিজস্ব ভাষা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি থাকা সত্ত্বেও আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও উপজাতি বলা হচ্ছে। আমরা সংবিধানে আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি চাই। আলোচনা শেষে দুপুরে পৌরসভা প্রাঙ্গণ হতে র‌্যালি শুরু হয়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালি ও আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, পাংখোয়াসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর নারী-পুরুষ ও শিশুরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন।
দিনাজপুরের আলোচিত ব্যবসায়ী কাশেমের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা
পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ চেয়ারম্যান নির্বাচিত
দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ন ভাবে সরাইল ও নাসিরনগরের ভোট সম্পন্ন
সর্বশেষ সংবাদ