এমপিকে নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের বক্তব্য, বিক্ষোভ মিছিল আওয়ামী লীগের
- হাসিব খান, গাজীপুর
-
২০২২-০৭-২২ ০৩:৫৯:২২
- Print
জার্মানভিত্তিক একটি গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে একটি রিপোর্ট ছাপা হয়েছে আওয়ামী লীগের ভিতরে ‘এমপি লীগ‘ যেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, এমিপর কারণে (সিমিন হোসেন রিমি, কাপাসিয়া ৪ আসন) আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পথ থেকেও বাদ দিয়েছেন। আর উপজেলার সব কমিটি তার লোকজন দিয়ে তৈরি করেছেন। আমাকে কোন কাজে করতে দেন না। যেখানে কিছু করতে যায় সেখানে তার লোকজন দিয়ে বাধা দেন। এই পরিস্থিতি কেন্দ্রকে জানালে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এমপিকে বাদ দেয়া হয়েছে। তারপরও তিনি থামছেন না। ৭৫-এর পর যে নেতারা কাপাসিয়া আওয়ামী লীগকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধরে রেখেছিল তাদের অপমান করা হচ্ছে। এই বক্তব্যের জের ধরে ২১ জুলাই(বৃহস্পতিবার) রাত ৮ টার দিকে উপজেলা আওয়ামিলীগ এক বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। বিক্ষোভ মিছিলে কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। মিছিলটি উপজেলা সদরের বিভিন্ন রাস্তা পদক্ষিন শেষে কাপাসিয়া বাজারের বরুণ রোডে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন,রিমি আপার বিরুদ্ধে কথা বলা মানে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলা, রিমি আপার বিরুদ্ধে কথা বলা মানে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলা , আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলে কোন প্রকার আওয়ামিলীগে থাকা যায় না। আমরা আওয়ামী লীগের উর্ধ্বতন নেতা কর্মীদের কাছে আবেদন জানাবো এই বিষয়টি যেন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। সে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আগামী দিনে যদি আরো কঠিন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করতে হয় তাহলে আমরা তা করবো। এসময় বক্তারা কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আমানত হোসেন খানকে কাপাসিয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করেন। বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনের সময় স্লোগান দিতে থাকে " আমানতের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে"।
কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান বলেন, কাপাসিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান অবাধে চলাফেরা করতো,ওনার সাথে আমাদের বা এমপি মহোদয়ের কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। আমাদের কথা হলো তিনি এই ধরনের মিথ্যা কথা কেন বললেন। এ নিয়ে এমপি মহোদয় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, আমি কোন সাংবাদিক বা গণমাধ্যমে রিমি আপাকে নিয়ে কোন ধরনের কোন মন্তব্য করিনি। তাজউদ্দীন পরিবারের জন্য আমি সারাজীবন কাজ করে গিয়েছি। সেই তাজউদ্দীন পরিবার নিয়ে কোন মন্তব্য করব এমন দৃষ্টতা আমার নাই। তাজউদ্দীন পরিবারের জন্য কাজ করতে যেয়ে ২০০১ সালে বিএনপি কর্মীদের মার খেয়ে পঙ্গু হয়েছিলাম। রীমি আপার সংসদ নির্বাচনে আমি ছিলাম চিপ এজেন্ট। বিগত দিনে যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে কিছু করতে পারে নাই তারাই আবার নতুনভাবে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। আমাকে এবং আমার দল আওয়ামী লীগকে ও এমপি মহোদয়কে বেকায়দায় ফালানোর জন্য তারা কাজ করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগ আমাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কেউ নয় আমার বিরুদ্ধে যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে সেন্ট্রাল আওয়ামী লীগ ব্যবস্থা নেবে। সামনে সংসদ নির্বাচন আসছে আমি আশা করবো সবাই একত্রে মিলেমিশে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করবে।