ঢাকা মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪
বাতাসের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে
  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • ২০২০-০৭-০৮ ০২:২৬:২১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও স্বীকার করেছে যে, বাতাসে ভেসে থাকা ক্ষুদ্র কণার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। যেখানে মানুষের ভিড় বেশি, বন্ধ ঘর বা যেখানে বাতাস চলাচলের ভালো ব্যবস্থা নেই- সেসব জায়গায় বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না।

যদি এটি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে আবদ্ধ জায়গায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হতে পারে। এর আগে বিশ্বের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী এক খোলা চিঠিতে অভিযোগ করেছিল যে করোনাভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে সংক্রমিত হবার বিষয়টিকে খাটো করে দেখাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এখন পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলে আসছে যে, হাঁচি এবং কাশির মাধ্যমে যেসব ক্ষুদ্র জলীয় কণা বের হয়, সেগুলোর মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অবস্থানের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না ৩২টি দেশের ২৩৯ জন বিজ্ঞানী।

তারা বলছেন, মানুষের কথা বলা এবং শ্বাস-প্রশ্বাস নেবার পর ক্ষুদ্র কণা কয়েক ঘণ্টা বাতাসে ভেসে থাকে। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

ওই খোলা চিঠিতে স্বাক্ষর করা বিজ্ঞানীদের একজন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো ইউনিভার্সিটির রসায়নবিদ জোসে জিমেনেজ। তিনি বলেন, আমরা চাই করোনাভাইরাস বাতাসে ছড়ানোর বিষয়টিকে তারা স্বীকার করে নিক। তিনি বলেন, যে খোলা চিঠি দেয়া হয়েছে সেটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর কোনও আক্রমণ নয়।

জিমেনেজ বলেন, এটা একটা বৈজ্ঞানিক বিতর্ক। তথ্য-প্রমাণ নিয়ে তাদের সঙ্গে অনেক বার আলোচনার পরেও তারা এটা প্রত্যাখ্যান করেছে। সেজন্য আমরা মনে করেছি যে বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিত।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা সতর্ক করে বলেছেন, বাতাসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর তথ্য-প্রমাণ এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে এবং এজন্য আরও পর্যালোচনা দরকার।

বন্যা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা করা উচিত
টাঙ্গাইলে বুরো হাসপাতালের শুভ সূচনা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিনামূল্যে ৩০০ জন দুস্থ রোগীর চক্ষু ছানি অপারেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন