রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ।
রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখারই কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ।
অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা: আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভুয়া রিপোর্ট প্রদানসহ রোগীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানা অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত ও প্রচারিত হচ্ছে। এসব অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় হাসপাতালের সকল কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করা হলো ।
এর আগে, করোনা টেস্টের জাল সনদ সরবরাহ এবং টেস্ট ও চিকিৎসায় অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল সিলগালা করে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেল পাঁচটার দিকে হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়।
এ সময় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।' তিনি আরও জানান, মিরপুরের রিজেন্ট হাসপাতালও সিলগালা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সারোয়ার আলম আরো জানান, ৬ হাজারের বেশি নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে হাসপাতালটি। যেকোনো হাসপাতাল এ ধরনের অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। বিকেল ৩টার পর এ অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানের শুরতেই রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের ফ্ল্যাগস্ট্যান্ড লাগানো গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এরপর র্যাবের অভিযানে করোনা পরীক্ষার অনুমোদনহীন কিট উদ্ধার করা হয়। তবে, প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলেও পলাতক রয়েছেন গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ।
করোনা চিকিৎসায় অনিয়ম পাওয়ায় সিলগালা করা উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা হঠাৎ করেই ভোগান্তিতে পড়েছেন। র্যাব বলছে চুক্তি অনুযায়ী বিনামূল্যে চিকিৎসার কথা থাকলেও তারা লাখ লাখ টাকা বিল করেছে। তবে রিজেন্ট কর্তৃপক্ষের দাবি, অনুমতিপত্রে বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসার কোনো কথা উল্লেখ নেই।