দিনাজপুরের তেলবাহী ট্যাঙ্ক লোরি চাপায় মা মেয়ের মৃত্যু বাবা ও ভাই গুরুতর আহত
- সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর
-
২০২২-০৭-০৬ ০৪:৩৮:২৯
- Print
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তেলবাহী ট্রেন লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মা বিউটি আক্তার (৩০) ও মেয়ে ফাহিমা আক্তার (১৩) নিহত হয়েছে।
এ সময় মোটরসাইকেল চালক স্বামী হোসাইন (৫০) আহত ও তাদের শিশু পুত্র নাসিরুল্লাহ (২) গুরুতর আহত অবস্থায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে দিনাজপুরে আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের শিফা ডায়গনস্টিক সেন্টারের সামনে এই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বিউটি আক্তার দিনাজপুর বিরল তেঘড়া দারুল হাদিস সালাহফিয়া মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ হোসাইনের স্ত্রী এবং তাদের কন্যা ফাহিমা আক্তার।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার এএসআই কৃষ্ণ রায় জানায়, দিনাজপুর বিরলের তেঘড়া দারুল হাদিস সালাহফিয়া মাদ্রাসার সুপার মোহাম্মদ হোসাইন তার স্ত্রী বিউটি আক্তার মেয়ে ফাহিমা আক্তার দুই বছর বয়সী শিশু পুত্র নাসিরুল্লাহ সহ তিনি নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজের গ্রামের বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলার নামো পাঁচ টিকরি গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।
দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের সামনে শিফার ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর সামনে পৌঁছলে পিছন দিক থেকে একটি তেল বাহি ট্যাংলড়ি ধাক্কা দিলে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মোটরসাইকেলের পিছনে বসে থাকা তার স্ত্রী বিউটি আক্তার ও কন্যা ফাহিমা আক্তার তেলবাহী ট্রেন লরির চাকার নিচে পড়ে যায়।এতে ঘটনা স্থলেই চাকায় পিষ্ট হয়ে মা বিউটি আক্তার ও মেয়ে ফাহিমা আক্তার মারা যায়।
তাদের একমাত্র শিশুপুত্র নাসিরুল্লাহ গুরুতর আহত হয়ে পড়ে থাকলে স্থানীয় স্থানীয়রা শিশু পুত্র ও মোটরসাইকেল চালক হোসাইন কে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘাতক তেলবাহী ট্যাংক লরিটি পালিয়ে যায় বর্তমানে শিশু পুত্র নাসিরুল্লাহ গুরু আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
তবে মোটরসাইকেল চালক মাদ্রাসার সুপার হুসাইন আশঙ্কা মুক্ত বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মা ও মেয়ের লাশ দিনাজপুরে আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।