ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের অপকৌশল নির্যাতিত মোশারফের বিরুদ্ধে জিডি, হাসপাতাল থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে
- মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
-
২০২২-০৬-১৪ ০৭:০৬:৩৮
- Print
চাকুরী প্রার্থীকে নির্যাতনের ঘটনার দায় এড়াতে অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সদর মডেল থানায় কাজী মোশারফ হোসেন নামের ওই চাকুরী প্রার্থীর বিরুদ্ধে একটি সাধারন ডায়েরী(জিডি) করা হয়েছে। জিডি নং-১২৮২,তারিখ-১১/০৬/২০২২।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোশারফকে ভয়ভীতি দেখিয়ে হাসপাতাল ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। আতঙ্কে মোশারফ ও তার পরিবারের কেউ মুখ খুলছেননা। মোশারফ জানিয়েছেন,তার শরীরের অবস্থা ভালো নয়।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পল্লব কুমার চক্রবর্তীর করা সাধারণ ডায়েরীতে বলা হয়-' ১০ই জুন আনুমানিক ৩.৪৫ ঘটিকায় জেলা ট্রেজারীর সামনে একজন অপরিচিত যুবক(বয়স আনুমানিক ২৮ বৎসর) সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরা করার সময় ট্রেজারিতে ডিউটিরত পুলিশ সদস্য তাকে সতর্ক করে স্থান ত্যাগ করতে অনুরোধ করেন। একপর্যায়ে সে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করলে ডিউটিরত পুলিশ তাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে তার নাম ঠিকানা রেখে জেলা ট্রেজারী অফিসের সামনে থেকে বিদায় করে দেয়। পরক্ষনে বিকাল আনুমানিক ৪.১৫ ঘটিকার সময় ওই লোকটি আরো কয়েকজন লোক নিয়ে জেলা ট্রেজারীর সামনে উচ্চবাচ্য করতে থাকলে ট্রেজারী অফিসে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যগন ট্রেজারীর নিরাপত্তার স্বার্থে তাদেরকে এ কার্যালয় হতে সরিয়ে দেন। উল্লেখিত যুবকের নাম কাজী মোশারফ হোসেন, মোবাইল নং-০১৮২৮৫৬১৫৬২, গ্রাম-চাপিয়া, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মর্মে জানা যায়। এবিষয়ে আমি আমার উর্ধ্বতন ককর্তৃপক্ষ সকলকে অবগত করি। গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজস্ব ও সাধারন প্রশাসনে তৃতীয় শ্রেনী কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সারাদিন ব্যস্ত ছিলাম বিধায় জিডি এন্ট্রি করতে বিলম্ব হয়েছে।'
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জিডি'র বিষয়টি স্বীকার করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ই জুন জেলা প্রশাসনের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা দিতে এসে গচ্ছিত রাখা মোবাইল ফেরত আনতে গিয়ে নেজারত ডেপুটি কালেকটর কিশোর কুমার দাশের কক্ষে নির্যাতনের শিকার হন কাজী মোশারফ হোসেন ও আরেক চাকুরীপ্রার্থী। তাদেরকে ওই এনডিসি ও দুই পিয়ন দফায় দফায় লাটি পেটা করেন। এরমধ্যে গুরুতর আহত হন মোশারফ। এই অবস্থাতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে মোবাইল ফেরত দেয়া হয় তাকে। পরে সে ৯৯৯-এ কল দিলে সদর মডেল থানা পুলিশ ডিসি অফিসে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। এসময় তার অবস্থা মুমুর্ষ ছিলো বলে উদ্ধারে যাওয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আতিকুল্লাহ জানান। এদিকে রবিবার দুপুরে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে মোশারফকে হাসপাতাল ত্যাগে বাধ্য করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মামুন মোহর তাকে ছাড়পত্র দেন। ওই চিকিৎসকের মোবাইল নাম্বারে ফোন করে কোন সারা পাওয়া যায়নি।