প্রতিদিন করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও, হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমছে। আক্রান্তরা বলছেন, সেবা না পাওয়ার শঙ্কা আর ভোগান্তি থেকে বাঁচতে হাসপাতালমুখো হচ্ছেন না তারা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রথম দিকের আতঙ্ক কাটিয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। সেই সাথে সচেতনতাও বেড়েছে। তাই হাসপাতালে ভিড় কম। অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা চিকিৎসায় এখনো রোগীবান্ধব হাসপাতাল গড়ে তুলতে পারেনি সরকার।
একটি থেকে বেড়ে এখন ৭৩টি ল্যাব। তবুও নমুনা জমা দিতে আসা মানুষের ভিড়ের কমতি নেই। শনাক্ত আর সুস্থর হিসাব অনুযায়ী, রবিবার পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছেন ৮৯ হাজার ৭৯২ জন। আর হাসপাতালে কোভিড শয্যা আছে ১৪ হাজার ৭৭৫টি; ৬ ভাগের মাত্র একভাগ।
তারপরও দেশের সব করোনা হাসপাতালে অর্ধেকেরও বেশি শয্যা খালি। যদিও প্রথম দিকে হাসপাতালে সিট না পাওয়ার হাহাকারের খবর গণমাধ্যমে নিয়মিত এসেছে। আর অব্যবস্থাপনার কারণে এখন রোগীরা হাসপাতালে যেতে অনিচ্ছুক- বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলে এমন তথ্যই জানা যায়।
সরকারের হিসাব বলছে, এ পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ৫ শতাংশেরও কম রোগী। বাসাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন আক্রান্তরা।
এদিকে, সুস্থ হতে অনুমান নির্ভর ওষুধ খাচ্ছেন বেশিরভাগ রোগী। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ। জাতীয় জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, "এডুকেশন বাইসেলফ- এটা কিন্তু মেডিক্যাল সাইন্স পারমিট করে না। করোনা চিকিৎসার জন্য যে হাসপাতাল- সে ব্যবস্থাপনা কিন্তু আমরা দাঁড় করাতে পারিনি। প্রাইভেট হাসপাতাল অনেক ব্যয়বহুল। যা মধ্যবিত্তদের সামর্থে নেই।"
গত এক সপ্তাহের শনাক্ত আর হাসপাতালে ভর্তির তথ্য বলছে, প্রতিদিনই কমছে রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. আয়শা আক্তার বলেন, "শুরুতে সবাই আতঙ্কিত হয়ে ভর্তি হত। যখন দেখা যাচ্ছে সুস্থতার হার বাড়ছে তখন দেখা যাচ্ছে হাসপাতালের বেড খালি থাকছে।"
তবে বাসায় বসে অনুমানভিত্তিক কোন ওষুধ খেতে নিষেধ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।