সিরাজগঞ্জে জিংক ধান ও চাল ব্যবসায়ীদের বাজারজাতকরণ শীর্ষক সভা
- নাজমুল হোসেন, সিরাজগঞ্জ
-
২০২২-০৫-২৫ ০৮:৫১:০৩
- Print
সিরাজগঞ্জে জিংকসমৃদ্ধ ধানের ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাজারজাতকরণ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৫ মে) বেলা ১১ টায় ইবি রোডস্থ পৌর ভাসানী মিলনায়তনে হারভেষ্ট প্লাস বাংলাদেশ এবং গেইনের যৌথ উদ্যোগে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
হারভেস্টে প্লাস প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোঃ আবু হানিফা এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর।
কৃষিবিদ মোঃ আবুল কালাম আজাদ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন, জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্য পরিদর্শক কারিগরী মোঃ শফিউর রহমান , কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মার্কেটিং অফিসার মোঃ আয়ুব আলী প্রমূখ। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, আরডিআরএস'র নিবার্হী পরিচালক ফুখরুন নাহার।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে জিংকের অভাবে ডায়রিয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, খাটো হওয়া, মাতৃত্বজনিত সমস্যা এবং নিউমোনিয়া দেখা দেয়।এখন ভাতের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান জিংক। শিশু কিশোরদের বেড়ে উঠার জন্য এবং ক্ষুধা মন্দা দূর করতে জিংক অপরিহার্য। এরপর তিনি জিংক সমৃদ্ধ বিভিন্ন ধানের জাত বাজারজাতকরণের উপর আলোচনা করেন।তিনি আরও বলেন,গবেষকরা বিভিন্ন সময়ে মোট ৬টি জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হলো- ব্রি ধান-৬২, ব্রি ধান ৬৪, ব্রি ধান ৭২, ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান ৮৪ এবং বঙ্গবন্ধু ১০০। দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য কাজ করছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় পুষ্টি সমৃদ্ধ ধান উৎপাদনে কাজ করছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। গবেষণার মাধ্যমে তারা বেশ কিছু জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে। এগুলোর মধ্যে গুণগত মানের দিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু ধান ১০০। এই ধান সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সিরাজগঞ্জের ৯ টি উপজেলায় জিংক সমৃদ্ধ ধান লাগনোর চেষ্টা চলছে।
যা জিংকের অভাব পূরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
সভায় কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারি - বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কৃষক, বীজ উৎপাদনকারী এবং বীজ ব্যবসায়ীদের সহ ৩০ জন অংশগ্রহণ কারী উপস্থিত ছিলেন।