রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী পার্বত্য চুক্তির সব শব্দই বাস্তবায়ন হবে হতাশ হওয়ার
- পলাশ চাকমা, রাঙামাটি
-
২০২২-০৫-২৪ ১০:৩৫:০৫
- Print
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের,এমপি বলেছেন, অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তি চুক্তি করেছিলেন। আর সেই চুক্তির সব শব্দই বাস্তবায়ন হবে। এক্ষেত্রে হতাশ হওয়ার কোন কারণ নেই। ভূমি সমস্যা ছাড়া পাহাড়ের সব সমস্যারই সমাধান হয়েছে। ভূমি সমস্যা সমাধান হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পাহাড়ে রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। রক্তপাত ঘটিয়ে কোনও সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে না।
দীর্ঘ ১০ বছর পর রাঙ্গমাটি জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী সম্মেলনের যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার রাঙ্গামাটি শহরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হাজি মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম প্রমূখ।
সেতুমন্ত্রী বিএনপির সমালোচনা করে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়াতে সারা দেশের মানুষ খুশি হলেও ফখরুল ও বিএনপি মুখে শ্রাবণের কালো মেঘ। তাদের অন্তরে খুবই বিষজ¦ালা। দেশের উন্নয়ন দেখলে বিএনপি নেতাদের বুকে ব্যথা হয়। তারা অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যা কখনো সফল হবে না।‘শেখ হাসিনা সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না’- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ক্ষমতার মালিক আল্লাহ আর এ দেশের জনগণ। জনগণকে খুশি রাখতে পারলে নির্বাচনে আবারও জনগণ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, বিএনপির দেশের উন্নয়ন চাইনা। দেশের উন্নয়ন হোক সেটি তারা সহ্য করতে পারেনা। তাই তারা সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্রের লিপ্ত। বিএনপির জন্ম পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা। পাকিস্তান তাদের প্রভূ। তাই তারা দেশকে পাকিস্তান বানিয়ে দিতে চাই। কিন্তু আওয়ামী লীগে তা কখনো হতে দেবেনা। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিএনপি নেতারা ইদানীং সংযত হয়ে কথা বলছেন না, তারা যদি সংযত হয়ে কথা না বলেন তাহলে আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিহত করবে। আওয়ামী লীগ ধৈর্য ধরে আছে আর এই ধৈর্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায় তাহলে তাদের অনেকের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন কোন মায়া কান্না করে লাভ হবেনা।