ঢাকা সোমবার, মে ৬, ২০২৪
চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
  • মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • ২০২২-০৫-২২ ১১:৩৩:২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদাবাজি ও মানহানির অভিযোগে এক টেলিভিশন সাংবাদিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার দুপুরে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট(প্রথম আদালত) আসমা জাহান নিপা-এর আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আনারকলি। মামলার আইনজীবি মো: সাইফুল ইসলাম(১)জানান-আদালত মামলাটি তদন্তের জন্যে আশুগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার আসামীরা হচ্ছেন আশুগঞ্জের চরচারতলার টেকপাড়ার মৃত দানু মিয়ার ছেলে সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু(৪০),কেচকিবাড়ির মৃত ফাইজুরের ছেলে নূরুল্লাহ(৩৫),জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে মাহবুব,জিল্লু মিয়ার ছেলে সালমান(২৫),যাত্রাপুর গ্রামের হাসান জাবেদ(৩০) ও সময় টিভির সাংবাদিক উজ্জল কুমার চক্রবর্তী(৪২)। মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়- সোনারামপুর মৌজার জেএল-১৩,খতিয়ান নং -৫/১,বিএস দাগ নং ১৮৭১ এর মোট ১১৮৮ বর্গফুট ভূমি গত ১১ই এপ্রিল রেলওয়ের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বানিজ্যিক ভিত্তিতে বন্দোবস্ত নেন আনারকলি। এরপর সেখানে কাজ শুরু করলে চাদাবাজি,মাদক ব্যবসা ও হত্যাকান্ডে জড়িত এই আসামীরা তার কাজে বাধা প্রদান করতে শুরু করে। গত ১৪ই মে ঘটনাস্থলে এসে হত্যার হুমকী দিয়ে ৫ লাখ টাকা চাদা দাবী করে। চাদা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকী দেয়। এসময় তুই-তুকারি করে ধমকানোর প্রতিবাদ করলে বাদী আনারকলিকে আসামীরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। স্বাক্ষীরা তাকে রক্ষা করে। ওই সময় সেখানে নির্মিত একটি টিনের ঘর ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে আসামীরা। চাদা না পেয়ে আসামী সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু ও হাসান জাবেদ তাদের ফেসবুক আইডিতে আপত্তিকর পোষ্ট দেয়। আপত্তিকর এসব পোষ্টে বাদীর পিত্রালয় অর্থাৎ কিশোরগঞ্জ মিঠামইনের বিশিষ্ট নাগরিক মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদ এবং সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশের ডিআইজি হারুনুর রশিদের সাথে থাকা বাদীর ছবি তার ফেসবুক আইডি থেকে নিয়ে ব্যবহার করে। একটি পোষ্টে লিখা হয়.‘স্বামী মারা গেছেরা পাগলা,তাই রূপের ঝলক দেখিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরাচ্ছে’। চাদার দাবী পূরন না হওয়ায় পরবর্তীতে গত ১৯শে মে সাংবাদিক উজ্জল চক্রবর্তীকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাদাবাজি ও দখলবাজির মিথ্যা অভিযোগ এনে বাদী ও তার দলের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। বাদী আনারকলি বলেন- আমি চাদাবাজ,টিভি সাংবাদিককে এই অভিযোগ প্রমান করতে হবে। কোথায় আমি চাদাবাজি করেছি সেটি তাকে জানাতে হবে। আমার বিরুদ্ধে কয়টি চাদাবাজির মামলা আছে তা বের করে দিতে হবে। আমি বৈধভাবে রেলওয়ে ভূমি বন্দোবস্ত এনেছি। সে এই কাগজপত্র না দেখে চাদা না পাওয়ার ক্ষোভে আমার বিরুদ্ধে যা খুশি রিপোর্ট বানিয়েছে এবং প্রচার করেছে। আমার জীবন বিপন্ন করার জন্যে এই রিপোর্ট করা হয়েছে। আমি আমার অভিযোগের সুষ্টু তদন্ত এবং দোষীদের বিচার দাবী করছি। এজাহারে উল্লেখ করা হয় বাদীনির পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। পিতাসহ ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে তার পরিবারে। ছেলে ও ভাতিজাদের মুক্তিযোদ্ধে পাঠানোর কারনে ১৯৭১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর তার দাদা আমির হোসেন ভূইয়াকে রাজাকাররা বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে পাকবাহিনীর হাতে তুলে দেয়। পাকবাহিনী নৌকায় তাকে গুলি করে হত্যার পর রাজাকাররা আমির হোসেনের মরদেহ কুচিকুচি করে পানিতে ভাসিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধে পরিবারটির এই অবদানের জন্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান তার নিজের স্বাক্ষরিত দুটি চেক ও সমবেদনা পত্র দেন শহীদের পরিবারকে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর অভিযানে ১০ গ্রাম হেরোইন ও ৮০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার-০৩
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর  অভিযানে ৩৪ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-০১
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড
সর্বশেষ সংবাদ