ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
আসামীর পরিচয় লুকোতে চায় চন্দ্রিমা থানা!
  • রাজশাহী প্রতিনিধি:
  • ২০২২-০৪-১১ ০৫:৩৯:১৭
রাজশাহী নগরীর কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী রুবেল সহ ৭ জনকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ আটক করেছে র‌্যাব-৫। এদিকে আটককৃতদের পরিচয় জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানা কর্তৃপক্ষ নানা কায়দায় তাদের পরিচয় না দেয়ার পায়তারা করে। অভিযোগ রয়েছে, রুবেল নিজেকে চন্দ্রিমা থানার সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং এলাকায় মাদক, জুয়া, চুরি, ছিন্তাইসহ সব ধরণের অপকর্মের সাথেও জড়িত। পুলিশের সাথে সক্ষতা কারণে কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তাকে নানা ভাবে হয়রানি করা হতো। সূত্রমতে, র‌্যাব-৫ এর একটি দল শনিবার দিবাগত রাতে নগরীর আসামকলোনীর একটি বাড়িতে অভিযান চালায় ও সেখান থেকে ২৮ কেজি ভাং উদ্ধার করে। এসময় ওই বাড়ি থেকে পুলিশের কথিত সোর্স রুবেলসহ মোট ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে আইন অনুসারে আটককৃতদের উদ্ধার এলাকায় অবস্থিত চন্দ্রিমা থানয় সোপর্দ করা হয়। র‌্যাবের অভিযানে আটককৃতরা হলেন, আসাম কলোনী এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রুবেল (৪২), মৃত চান মিয়ার ছেলে ইউনুস আলী (৪০), ওহাব শেখের ছেলে ওয়াহেদ শেখ (৩৩), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শহীদ হোসেন (৩০), আবুল কাসেমের ছেলে বিপ্লব (৩৩), নিউ কলোনীর মৃত গোলাম রসুলের ছেলে সাহেব আলী ওরফে বাবু (৩৪) ও মৃত বাদশার ছেলে বাদল (৩৫)। আটককৃতরা ১৮ নং ওয়ার্ডের আসামকলোনী, বৌবাজার সহ পুঠিয়া উপজেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে রুবেল রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। র‌্যাবের অভিযানের সময় রুবেল র‌্যাবের ওপর আক্রমন করে পালাতে গেলে সে আহত হয়। পরবর্তিতে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে র‌্যাব। আটককৃত রুবেলের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ, শালবাগান এলকায় একটি কার্যালয় বসিয়ে সে এলাকায় নানা ধরণের অপকর্ম চালিয়ে আসছে। অর্থের বিনিময়ে অপরাধীদের থানা থেকে ছাড়ানো, মাদক ব্যবসা, আইপিএল জুয়া, ব্লাকমেইলের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত, অটো চুরি সহ সব ধরণের অপকর্মের সাথেই জড়িত এই রুবেল। রুবেলকে এলাকায় সবাই পুলিশের সোর্স হিসেবেই চিনে বা সে এই পরিচয় ব্যবহার করে। থানা এলাকায় কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাকে চন্দ্রিমা থানায় উপস্থিত হয়ে দেন-দরবার করতে দেখা যায়। এদিকে র‌্যাবের দেয়া তথ্য মতে, রুবেল সহ আটককৃত আসামীরা স্থানীয় একটি সংঘবদ্ধ মাদকচক্রের সদস্য। এরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এমনকি রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ এবং খুচরা ভাবে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন মাদকসেবীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। তারা এলাকায় বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করে বলে দাবী করত। যার ফলে এলাকাবাসীরা কেউ এই সংঘবদ্ধচক্রের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিত বলে এলাকাবাসী জানায়। সংঘবদ্ধ চক্রটির এ ধরণের মাদক কর্মকান্ডের কারণে তারা অতিষ্ঠ এবং আতঙ্কগ্রস্থ। র‌্যাব এর অভিযানে তাদের আটক করার কারণে এলাকাবাসীরা র‌্যাব এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাদের বিভিন্ন কু-কীর্তির কথা উপস্থিত র‌্যাব সদস্যদের কাছে বর্ণনা করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, এ চক্রে আরও একাধিক সদস্য রয়েছে। এসব সদস্যদের আইনের আওতায় আনার জন্য র‌্যারের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়। অভিযানের পর র‌্যাব-৫ আকটকৃতদের চন্দ্রিমা থানায় সোপর্দ করে। এর পর আটককৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে রবিবার চন্দ্রিমা থানার ডিউটি অফিসারের নম্বরে ফোন করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে পুলিশ সদস্য খাতেমুন আম্বিয়া আটককৃতদের পরিচয় দিতে বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন মেলা নাম বলা যাবে না। এসময় থানার ওসির বরাত দিয়ে তাকে জানানো হয় ওসি আকটকৃতদের পরিচয় দিতে বলেছেন। এমনকি ওসি নিজেও তাকে ফোন করে আটককৃতদের নাম পরিচয়গুলো সাংবাদিককে দিতে বলেন। এর পরও আটকৃতদের পরিচয় দেননি খাতেমুন আম্বিয়া। এদিকে, আরএমপির ১২টি থানায় একযোগে পুলিশের সকল সদস্যকে বদলি করা হলেও চন্দ্রিমা থানার খাতেমুন আম্বিয়া সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে এখন পর্যন্ত বদলি করা হয়নি বা তারা এখনো একই থানায় দীর্ঘদিন থেকে কর্মরত আছেন। খাতেমুন আম্বিয়ার বিরুদ্ধে এর আগেও সাংবাদিকদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ এর  অভিযানে ৩৪ টি নেশাজাতীয় ইনজেকশনসহ গ্রেফতার-০১
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড
দিনাজপুরে শিশু মিরাজ কাজী হত্যা মামলায় দাদা মমতাজকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
সর্বশেষ সংবাদ