পুলিশের হেফাজতে থেকে আত্মহত্যা করা হিমাংশু রায়ের দুই মেয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন জাতীয় পার্টি’র চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
গত ৭ জানুয়ারী স্ত্রী হত্যার দায়ে আটক হিমাংশু রায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানায় পুলিশের হেফাজতে আত্নহত্যা করেন। এর আগে তার বাড়ি ওই উপজেলার পুর্ব কাদমা এলাকায় হত্যাকান্ডের শিকার হন হিমাংশুর স্ত্রী গৃহবধু সাবিত্রী রানী।
গত শুক্রবার বিকালে লালমনিরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করে এমন ঘোষণা দেন জিএম কাদের।
এ সময় মৃত হিমাংসুর দুই মেয়ে পিংকী রাণী (১৩) ও পিয়াসী রানীর (১০) হাতে জিএম কাদেরের পক্ষে নগদ ৫ হাজার টাকা ও কিছু শীতবস্ত্র তুলে দেন জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বলেন, রাজনীতি মানে দেশের মানুষের জন্য সেবা করা। আমি এটি বিশ্বাস করি। রাজনীতি মানে সকলের উপর দেশের মানুষের স্বার্থ তারপর দলীয় স্বার্থ। দেশের সেবা করার জন্য দলকে ব্যবহার করা। তবে আমাদের দেশের রাজনীতির চর্চা এর উল্টো দিক থেকে। আমরা এই সংস্কৃতির পরিবর্তন চাই। আজকে এই সংস্কৃতির পরিবর্তনের জন্য আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। সামনের দিকে আমি এই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
গত ৭ জানুয়ারি সকালে হিমাংশুর স্ত্রী সাবিত্রী রানীর মরদেহ নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিমাংশু বর্মনকে আটক করে হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। আটকের ৪ ঘণ্টা পরে থানার একটি কক্ষে ওয়াইফাই লাইনের তার গলায় পেচিয়ে হিমাংশু আত্মহত্যা করে বলে পুলিশের দাবি। পরদিন একই চিতায় স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ দাহ করা হলে এ দম্পতির দুই মেয়ে পরিবারে একা হয়ে পড়েন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পাটি’র সদস্য সচিব জাহিদ হাসান, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক নজরুল ইসলাম, হাতীবান্ধা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আরিফ শাহরিয়ার, জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম রতন, জেলা রেল শ্রমিক পার্টির সম্পাদক আনসার আলী, জাতীয় মোটর শ্রমিক পার্টির সভাপতি আছির উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পাার্টির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও মৃত হিমাংশুর পিতা বিষেশ্বর বর্মন, বড় ভাই সুধীর বর্মন প্রমুখ।