ফরিদপুরে সিজারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলার ঘটনায় এবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আরামবাগ হাসপাতাল নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে। নবজাতক শিশুর পিতা আরিফুল আলম সজলের অভিযোগের ভিক্তিতে আরামবাগ হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা সিভিল সার্জন অফিস। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবরে পাঠানো অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৩ ডিসেম্বরে শহরের পশ্চিম খাবাসপুরে অবস্থিত আরামবাগ হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করা হয় স্থানীয় এক নারীকে। সিজারের সময় নবজাতকের হাত ভেঙে ফেলা হয়। পরবর্তীতে ঐ নবজাতককে ঢাকায় চিকিৎসা দেওয়া হলেও তার হাতটি ঠিক হয়নি। বর্তমানে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে শিশুটি দিন কাটাচ্ছে। নবজাতক শিশুটির পিতার আবেদনের প্রেক্ষিতে সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে বুধবার হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের খবর পেয়ে হাসপাতালটি থেকে পালিয়ে যায় পরিচালনা পর্ষদের লোকজন। ফলে তাদের কাউকে হাসপাতালটিতে পাওয়া যায়নি।
সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ছিদ্দীকুর রহমান জানান, অভিযোগের পর আরামবাগ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। হাসপাতালটিতে ডিগ্রিধারী কোন চিকিৎসককে পাওয়া যায়নি। তাছাড়া নানা অনিয়ম পাওয়া যায় হাসপাতালটিতে। এরআগেও এই হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে কতৃপক্ষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটি আমলে নেয়নি।
হাসপাতালটিতে নানা অনিয়ম থাকায় তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অবৈধভাবে পরিচালনা করা হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানান তিনি।
গত ১৫ জানুয়ারি ফরিদপুরের আল মদিনা নামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আয়া দিয়ে সিজারের সময় এক নবজাতকের কপাল কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনার পর মামলা হলে হাসপাতালের পরিচালকসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনার পর আল মদিনা হাসপাতালটিও বন্ধ করে দেয় সিভিল সার্জন।