ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন- আমি অত্যন্ত গর্বিত এমন একটা জেলায় জেলা প্রশাসক ছিলাম যেখানে মিডিয়াকর্মীরা সবাই সর্বোতভাবে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কোন সংবাদকর্মী, প্রেস ক্লাব কর্তৃপক্ষ অন্যায্য কথা বলেননি, অন্যায্য কার্যক্রমও করেননি। তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করেছেন। আবার অবজারভও করেছেন। আমাদের যখন কোন সমস্যা হয়েছে সেটা তারা আমাদেরকে জ্ঞাত করেছেন। এই যে একটি মেলবন্ধন আমি মনে করি এটি বাংলাদেশে একটি মডেল। সরকারের যে উন্নয়ন নীতি এবং পলিসি তা বাস্তবায়নের জন্যে প্রশাসনের সাথে মিডিয়ার যে সুসম্পর্ক, এটি কার্যকর একটি সম্পর্ক। যা মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম বিস্তারে সবাইকে উপকৃত করে। যা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। তার একটি প্রদর্শনী কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে সকলে দেখতে পেরেছেন। এর কৃতিত্ব এখানকার গনমাধ্যমকর্মীদের,প্রেস ক্লাবের। সদ্য বদলীর আদেশ প্রাপ্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে কম্বল বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিতে গিয়ে তার এ অনুভূতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন- ‘সাংবাদিকদের চোখ দিয়েই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দেখেছি। ২০১৮ সালের অক্টোবরে এখানে যোগদান করার প্রথম দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবেই প্রথম এসেছিলাম। সাংবাদিকদের সাথেই আমার প্রথম পরিচয়। সেদিনই আমি বলেছিলাম যতোদিন আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া থাকবো ততোদিন সাংবাদিকদের চোখ দিয়েই আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে দেখবো। সাংবাদিকরা সার্বক্ষনিক তৃনমুলে বিচরণ করেন। তারা সারাক্ষন সম্ভাবনা ও সমস্যা অনুসন্ধান করেন। আপনারা একশো জন আছেন। আরো ২’শ চোখ যদি আমার এই চোখের সাথে যুক্ত হয় তাহলে আমার উপলব্দি করার ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, নিজেকে আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ ভেবেই এখানে কাজ করেছি। আমি এখানকার নাগরিক,আর আপনারা হচ্ছেন আমার আত্বীয়। আপনাদের সাথে আমি আছি,আপনাদের মঙ্গল আমার মঙ্গল,আপনাদের ক্ষতি আমার ক্ষতি।
প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযুষ কান্তি আচার্য,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত,সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সহিদুল ইসলাম,সাবেক সাধারন সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান,কার্যকরী সদস্য মনির হোসেন, ক্লাব সদস্য নিয়াজ মুহম্মদ খান বিটু প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারন সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন। পরে অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরন করা হয়।