১৯৯১ সালে মাত্র ১০০ জন কর্মী এবং ওষুধের ১৫টি আইটেম নিয়ে এলবিয়ন গ্রুপের সূচনা হয়। সম্প্রতি নতুন এই কারখানাতেই এলবিয়ন গ্রুপের বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার। নতুন কারখানায় কর্মসংস্থান হবে তিন হাজার মানুষের। আমাদের এই উন্নয়ণের অগ্রগতির মূলে রয়েছেন আমাদের শ্রদ্ধেয় বাবা। এলবিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান রাইসুল উদ্দিন সৈকত ফাইনান্সিয়াল পোস্টকে এসব কথা জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা ও বিশ্ববাজারের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানিতে এশিয়ার শীর্ষে উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। এ জন্য দরকার কম সুদে ব্যাংক ঋণ। একই সঙ্গে দরকার বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোর সক্রিয়তা। ওষুধের ৩৯৬টি আইটেম আছে আমাদের। এর মধ্যে ট্যাবলেট ১৯৯ ধরনের, ক্যাপসুল ৪৩ ধরনের, ইনজেকশন সাত ধরনের, লিকুইড আইটেম আছে ১৫ ধরনের। এ ছাড়া রয়েছে আরও বিভিন্ন আইটেম। মানব স্বাস্থ্যের জন্য এখন ৩১২ ধরনের ওষুধ তৈরি করছি আমরা। আর প্রাণী স্বাস্থ্য রক্ষায় আছে ৮৪ ধরনের ওষুধ। ওষুধ শিল্পের বাইরে আমাদেও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা আছে। চট্টগ্রামে জনপ্রিয় ফ্যাঞ্চাইজি রেস্টুরেন্ট সেগাফ্রেডো জেনেতি এসপ্রেসোর শাখা চালু করা হয়েছে। খাবারের সেবা ভোক্তাদের হাতের মুঠোয় আনতে নতুন অ্যাপ চালু করা হয়েছে আমাদের রেস্টুরেন্টের পক্ষ থেকে।
উল্লেখ্য, দেশে ওষুধের অভ্যন্তরীণ বাজার ২০ হাজার কোটি টাকার। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ওষুধের আমদানিকারক থেকে ইতোমধ্যে রপ্তানি দেশেও পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বের অনেক দেশে যাচ্ছে এ দেশের ওষুধ। স্কয়ার, এসিআই, রেনাটা, ইনসেপ্টা, এসকেএফসহ অনেক দেশি কোম্পানিই এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা মহাদেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। বেক্সিমকো ফার্মা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ওষুধ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, প্রতিবছর হাজার কোটি টাকার ওষুধ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। আরও গতি আনা গেলে ভবিষ্যতে তৈরি পোশাক খাতের পরই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি পণ্য হতে পারে।