ঢাকা সোমবার, মে ৬, ২০২৪
রাজবাড়ীর ১৪টি ইউনিয়নে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা
  • রাজবাড়ী প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-১২-২০ ০১:৩৭:২৬

জমে উঠেছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারনা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগে ব্যস্ত প্রার্থীরা। তবে একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। এদিকে, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরণের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ। তাই প্রচার-প্রচারনায় সরগরম গোটা নির্বাচনী এলাকা। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে হাটবাজারসহ পাড়া মহল্লার অলিগলি। সামাজিক উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। তবে একে অপরের প্রতি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সরকারি দলীয় প্রার্থী তাদের প্রচার প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ সরকার দলীয় প্রার্থীরা বাইরে থেকে লোকজন এনে তাদের প্রচার প্রচারনায় বাধা সৃষ্টি করছেন। তাদের কর্মী সমর্থকদের ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে।

অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে রাজবাড়ী সদর উপজেলার সদশী ইউনিয়নের ¯^তন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার শেখ দেলুর নির্বাচনী অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মি সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগও করেছেন তিনি। পরে প্রশাসনকে জানানোর পর প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি ও নির্বাচন কমিশনে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার শেখ দেলু আনারষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচর করছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী তার কর্মী সমর্থকদের বিভিন্ন সময় প্রচারনায় বাধা সৃস্টি করছেন। পোষ্টার টানাতে গেলে টানাতে দেয় না। আবার নারী কর্মীদের ভয়ভীতি দেখায়। এরমাঝে আমার দুটি নির্বাচনী অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রশাসনকে জানানোর পর তাদের সহযোগীতায় অফিস চালু করেছি। আমি এবিষয়গুলো নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি। এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থায় আছে। নির্বাচন পর্যন্ত এই অবস্থা থাকলে নির্বাচন আশা করি শান্তিপূর্ণ হবে। শান্তি পূর্ণভাবে নির্বাচনে যে ফলই আসুক আমি মেনে নিব। তাতে আমি পরাজিত হলেও। তবে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুঁড়িতে নয়; সৎ, যোগ্য এবং এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন এমন প্রার্থীকেই বেছে নিতে চান ভোটাররা।

নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান। তিনি আরো বলেন, আমরা আচরণ বিধি ভঙ্গের কারনে বেশ কয়েকজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থায় গ্রহণ করেছি। আরো কয়েকজনকে সতর্ক করেছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠ শান্তি পূর্ণ হবে।

১৪ ইউনিয়নের মধ্যে বানীবহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেফালী আক্তার বিনা প্রতিদ্বদ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। যে কারণে ওই ইউনিয়নে শুধুমাত্র সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ভোটগ্রহণ হবে। আর বাকি ইউনিয়নগুলোতে ৫৪ জন চেয়ারম্যান পদে, সংনক্ষিত আসনে ১৩৩ জন নারী, সাধারণ সদস্য পদে ৪৫৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ