শ্রমিক নেতা নুরুল ইসলাম হত্যার এজাহার পরিবর্তনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পন করেছেন রাজশাহীর পুঠিয়া থানার সাবেক ওসি শাকিল উদ্দিন আহমেদ।
হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। তবে আদালতে পুর্ণাঙ্গ নথি না থাকায় শুনানি হয়নি। শুনানির জন্য আগামী ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
ওসি শাকিলের আইনজীবী আসলাম সরকার জানান, হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী
এর আগে খুনের শিকার শ্রমিকনেতা নুরুল ইসলামের মেয়ে নিগার সুলতানা রিটটি করেছিলেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। এজাহার বদলের অভিযোগ ওঠার পর ওসি শাকিলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছিলো।
একই সঙ্গে ওসিকে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছিলো রুলে। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, রাজশাহীর পুলিশ সুপার ও পুঠিয়া থানার ওসিসহ সাত বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিলো।
নুরুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় তাঁর মেয়ে নিগার পুঠিয়া থানায় আবদুর রহমানসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দাখিল করেছিলেন। পরে ওসি শাকিল উদ্দিন এজাহার সংশোধন করতে বলেন। পরে এজাহার সংশোধন করে দাখিল করা হয়। এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়ায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রাজশাহীর আদালতে একটি মামলা করেন। তখন পুলিশ একটি এজাহার দাখিল করে।
এই এজাহার অনুসারে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তবে আসামি হিসেবে ওই আটজনের নাম নেই। যে এজাহার নথিভুক্ত হয়েছে, তা নিগারের নয়। নিগারের দাখিল করা এজাহার বদলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ওসির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ এবং ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে আবেদন করে কোনো ফল না পেয়ে নিগার রিটটি করেন।