জেলায় ইভটিজিং-এর ঘটনাকে কেন্দ্র করে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে সদর থানার ওসি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও সংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন ভবনের কক্ষের কাঁচ ভাংচুর হয়। রোববার (২১ নভেম্বর) রাত ৯টা থেকে ১ টা পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: জাকির হোসেন বলেন, মেডিকেল কলেজের মাঠে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে থাকে। খেলার সময় মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়া মেডিকেল কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিংসহ নানা মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়টি জানাজানি হলে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঠে খেলতে নিষেধ করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। লাঠি-সোঠা ও ইট-পাটকেল নিয়ে থেমে থেমে চলতে থাকে সংঘর্ষ।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়ে বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। এ সংঘর্ষে গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুলল ইসলাম ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৪০ জন আহতে হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২জনকে আসঙ্কাজনক অবস্থ্যায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার সকালে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।