ঢাকা বুধবার, জানুয়ারী ১৫, ২০২৫
নির্বাচন আসলেই আ’লীগ নেতাদের খুন করা হয়
  • রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
  • ২০২১-১১-০৪ ১০:৪৯:৫৪
খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গামাটি আসনের সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেছেন, পার্বত্য এলাকার কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর প্রচন্ডভাবে নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে আসছে। তাদের পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা ও আক্রমণে বহু নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন। নির্বাচন আসলে সন্ত্রাসী তৎপরতা আরও বেড়ে যায়। বেছে বেছে আওয়ামীলীগ নেতাদের খুন করা হয়। বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) বিকালে রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তৎপরতা, প্রার্থীদের হত্যা, অপহরণের অপচেষ্টা প্রতিহত ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সাংসদ দীপংকর তালুকদার লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শুরু হয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২য় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর ২০২১ থেকে শুরু হতে চলেছে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি, কাপ্তাই এবং বরকল উপজেলায় ইউপি নির্বাচন। ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনকে ঘিরে অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা তাদের তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে। নির্বাচনী এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মাঝে মাঝে অনেকটা প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। তাদের এহেন অপতৎপরতার আসল উদ্দেশ্যেই হচ্ছে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে জোরপূর্বক জিতিয়ে দেয়া। এজন্য আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় প্রার্থী ও নেতা কর্মীদের টার্গেট করে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এভাবে তারা আমাদের নেতাকর্মীদের খুন ও জখম করে চলেছে। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধ করা না গেলে আসন্ন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা ও উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এবং সন্ত্রাসীরা আরো উৎসাহী হয়ে আগামী সব নির্বাচনে আগের মতো একই পন্থা প্রয়োগ করবে। এতে ভোটাধিকার বঞ্চিত হবে জনগণ,ব্যাহত হবে গণতন্ত্র। তাই আসন্ন ইউপি নির্বাচনের প্রত্যেক ধাপের আগে ভোট কেন্দ্রসহ নির্বাচনী এলাকাসমূহে নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ করে অস্থায়ীভাবে সেনাক্যাম্প স্থাপনের জন্য নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, হাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, বৃষকেতু চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, দপ্তর সম্পাদক রফিক আহমেদ,মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী এবং সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু ও জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মোঃ জাহিদ আক্তার প্রমূখ।
আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আসিফ নজরুল
দেশ সংস্কারে রাজনৈতিক দলগুলোর সংকল্প থাকতে হবে: আলী রীয়াজ
পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই: প্রধান উপদেষ্টা