সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ’র ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাজেদা বেগম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছে। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে গত সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। সাজেদা বেগম সমাজকল্যাণ মন্ত্রী’র ছোট ভাই কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুজ্জামান আহমেদ’র স্ত্রী। তিনি ওই উপজেলার মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবা রহমান চেয়ারম্যান পদে সাজেদা বেগমের মনোনয়ন পত্র দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ৩য় ধাপে লালমনিরহাট সদর ও কালীগঞ্জে উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ছিলো মঙ্গলবার। এ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করেন আওয়ামীলীগ। জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুর ইসলাম। মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে গত সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ’র ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাজেদা বেগম। খোদ মন্ত্রী বাড়িতেই বিদ্রোহী প্রার্থী এ নিয়ে ওই উপজেলায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও তুষভান্ডার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী সাজেদা বেগম বলেন, তিনি মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য কিন্তু তাকে মনোনয়ন না দিয়ে বিএনপি করতো এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে কেউ যদি প্রার্থী হয়ে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।