ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
  • ২০২১-১০-২৪ ০৭:৪৪:০৮

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় শনিবার বিকেলে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ চেতনা বিকাশ কেন্দ্রের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমত আলীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেসবাহ উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জারু মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা করম আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী। এছাড়াও নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী পায়েল হোসেন মৃধা, অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী বোরহান উদ্দিন, চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফারুক হোসেন,কালিকচ্ছ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী মজিবর রহমান, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদে মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল কালাম আজাদ বক্তব্য রাখেন। 

এসময় নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, গত ১৭ অক্টোবর সরাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উউপস্থিতিতে তৃণমূলের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শেষে তমণমূলের নেতৃবৃন্দ ভোটের ফলাফল জানতে চাইলে, এসময় উপস্থিত আ'লীগের জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দ ফলাফল প্রকাশ করতে অনিহা প্রকাশ করেন। আমি তৃণমূলের ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হলেও  নেতৃবৃন্দ তাদের পছন্দের প্রার্থী দিয়ে প্যানেল তৈরি করেছে। এই ঘটনায় আমি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি। 

একই অভিযোগ করে চুন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আ'লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ফারুক হোসেন বলেন, তৃণমূলের আমি ১৯ভোট পেয়ে সর্বোচ্চ ভোটে জয়ী হয়েছি। ভোট গ্রহণের পর আমাদের ফলাফল জানানো হয়নি। অথচ আমার থেকে অনেক কম ভোট যে পেয়েছে সে নাকি ১৯ভোট পেয়েছে। আমার স্থলে তাকে মনোনয়ন দিতে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। 

অন্যান্য প্রার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, যেখানে অন্যান্য উপজেলায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বাবদ ১/৩হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ সরাইল উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কাছ থেকে প্রথমে ২০হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে প্রার্থীদের আপত্তির মুখে ১৫ হাজার টাকায় মনোনয়ন ফরম বিক্রয় করে উপজেলা আওয়ামী। 

আগামী ৭২ঘন্টার ভেতরে প্রার্থীদের টাকা ফেরত না দিলে বৃহৎ কর্মসূচি দেওয়া হুশিয়ারি দেন মুক্তিযোদ্ধারের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ