দিনাজপুর শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ী-ঘর, পুজা মন্ডপ, মঠ-মন্দির হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন, ধর্ষন, পুজারী হত্যা, লুটপাট ও সাম্প্রদায়িক বিনষ্টের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
আজ শনিবার সকাল ১১ টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব সম্মুখ সড়কে গণঅনশন-গণঅবস্থান পরে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয় ।
বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব প্রদান করনে দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ কাহারোল) আসনের সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল । এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজ দেবোত্তর এস্টেটের এজেন্ট রনজিৎ সিং, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি সুনীল চক্রবর্তী ও সাধারণ সম্পাদক রতন সিং, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি স্বরুপ কুমার বকসী বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার রায়সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, সংখ্যালঘুদের উপর হামলার মামলার প্রেক্ষিতে সৃষ্ট মামলাগুলো দ্রুত বিচার আইনে এবং বিশেষ ট্রাইবুনাল করে নিষ্পত্তির করতে হবে। সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিচার এবং বিচারের রায় কার্যকর না করার কারণে অপরাধীরা পরপর হামলার সাহস পাচ্ছে। শুধু ইকবালকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না, ইকবালের গডফাদারদের চিহ্নিত করতে হবে এবং আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্মের রক্তের আল্পনায় অর্জিত যে বাংলাদেশ, সেই বাংলাদেশে বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের অধিকার থাকতে পারে না। তিনি বলেন, সনাতন ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রিষ্টান ধর্মকে সাংবিধানিক ভাবে অধিকার দিতে হবে। তিনি বলেন, কারো খামখেয়ালিপনার কারণে কোন জায়গায় বিশৃক্সখলা সৃষ্টি হলে তার দায়-দায়িত্ব তাকেই বহন করতে হবে। বঙ্গবন্ধু’র সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের প্রগতির পথে অবস্থান করতে হবে। আসুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।