রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) উদ্যোগে বর্ণাঢ্য ও ব্যতিক্রমী আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় নগর ভবনে বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও কাউন্সিলরবৃন্দ। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও কর্মচারী ইউনিয়ন পৃথকভাবে পুস্পস্তবক করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শিশুপুত্র শেখ রাসেল সহ ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে শিশুদের নিয়ে বেলুন ও পায়রা উড়ানো এবং জন্মদিনের কেক কাটেন সিটি মেয়র লিটন। এরপর সিটি মেয়রের নেতৃত্বে নগরীর বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বের করা হয় বর্ণাল্য আনন্দ র্যালি। র্যালিটি নগর ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহীদ কামারুজ্জামান চত্বর ঘুরে পুনরায় নগরভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
আলোচনা সভায় রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, আজকে সারাদেশে জাতীয়ভাবে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপিত হচ্ছে। যে ছোট্ট শিশুকে কোন পাপ ষ্পর্শ করেনি, তাকেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা বাঁচতে দেয়নি। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে দেশ ও জাতিকে অনেক কিছু দিতে পারবো। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
রাসিক আয়োজিত কর্মসূচিতে আরো ছিল বাদ জোহর শেখ রাসেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নগর ভবন ও সোনাদিঘি জামে মসজিদ সহ সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ প্রার্থনা, বিকেলে সাইকেল বিতরণ, ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সন্ধ্যায় আতশবাজি ইত্যাদি। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে নগর ভবন আলোকসজ্জাকরণ ও ২টি ড্রপডাউন ব্যানার টাঙানো, নগরীর সাহেব বাজার ন্যাশনাল ব্যাংকের সামনে, সাহেব বাজারজিরো পয়েন্ট ও শিরোইল ঢাকা বাস টার্মিনালে ৬টি ওভারহেড ব্যানার লাগানো এবং ৩০টি সাধারণ ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে ব্যানার প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের শেখ রাসেল দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, প্যানেল মেয়র-১ ও ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সরিফুল ইসলাম বাবু। উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য ও ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল মমিন, সদস্য ও ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আনোয়ার হোসেন আনার, সদস্য ও ওয়ার্ড নং ১৯ মোঃ তৌহিদুল হক সুমন, কমিটির সদস্য সচিব ও রাসিকের সচিব মোঃ মশিউর রহমান, প্যানেল মেয়র-২ ও ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রজব আলী, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রুহুল আমিন, ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়ার্ড এসএম মাহবুবুল হক, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাসেল জামান, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রবিউল ইসলাম তজু, ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সোবহান, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেলাল আহম্মেদ, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ রবিউল ইসলাম, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নিযাম উল আযীম, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আরমান আলী, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ তরিকুল আলম পল্টু, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তাহেরা খাতুন, আয়েশা খাতুন, শিরিন আরা খাতুন, মাজেদা বেগম, উম্মে সালমা, নাদিরা বেগম, লাইলী বেগম, প্রধান প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নূর ইসলাম তুষার, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ নূর-ঈ সাইদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.এফএএম আঞ্জুমান আরা বেগম, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, কমিটির সদস্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজ মিশু, সদস্য ও ইভেন ম্যানেজমেন্ট এন্ড টুরিজম শাখার ম্যানেজার ফরহাদ হোসেন আদনান, সদস্য ও ক্রীড়া কর্মকর্তা শ্যামল পারভেজ শিমুলসহ বিভিন্ন শাখা প্রধান, কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আজমীর আহম্মেদ মামুন সহ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।