মনোহরদীতে র্যাবের হাতে গ্রেফতার কাউন্সিলরকে মনোহরদী থানায় সোপর্দ করা হয়।
গতকাল শনিবার বিকাল এলাকার আকন্দবাড়ী আউয়াল মেম্বারের বাড়ির পাশের জামে মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌহিদুল মবিন খাঁন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তারকৃত বাবুল আকন্দ একই এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুস আকন্দের ছেলে।
সে মনোহরদী পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি।
র্যাব-১১ নরসিংদী সিপিএসসি সূত্রে জানা যায়, কাউন্সিলর জাকির হোসেন আকন্দ বাবুল এলাকার মেয়ে এবং গৃহবধূদের বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করত। সে ২০১৯ সালে নিজের মেয়ের বান্ধবীকে যৌন নিপীড়ন করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ওই সময় গ্রাম্য সালিসে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে বিষয়টি তিনি মীমাংসা করেন। গত বুধবার সকাল ৮টায় মনোহরদী পৌর এলাকায় এক সাবেক ইমামের স্ত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে জড়িয়ে ধরেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। বিষয়টিতে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ভিকটিমের স্বামী ফেসবুক লাইভে স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করেন এবং বিচার দাবি করেন।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে র্যাব-১১ নরসিংদী ক্যাম্পের চোখে পড়ে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা যাচাই করে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রদত্ত তথ্য মতে প্রাথমিকভাবে বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় শনিবার বাবুল আকন্দকে আটক করে র্যাব।
র্যাব-১১ নরসিংদীর ক্যাম্প কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌহিদুল মবিন খাঁন বলেন, বাবুল আকন্দের বিরুদ্ধে এলাকার আরও মেয়ে এবং গৃহবধূদের যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নির্যাতিতা নারীর স্বামী বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় বাবুল আকন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে শনিবার রাতে মনোহরদী থানা-পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
এদিকে ধর্ষক কাউন্সিলর বাবুল আকন্দের গ্রেপ্তারের খবরে পৌরসভায় ৫নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় জুতা মিছিল করেছে এলাকাবাসী। তারা বাবুল আকন্দের একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান।
তবে কাউন্সিলর বাবুল আকন্দের স্ত্রী নার্গিস বেগম সাংবাদিকদের জানান, বাবুল আকন্দ নির্দোষ। দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর বাবুল আকন্দকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান ঘটনার সততা স্বীকার করে বলেন, নির্যাতিতা নারীর স্বামী আহসান উল্লাহ বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণচেষ্টা মামলা দায়ের করেছে।