ঢাকা সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে : প্রধানমন্ত্রী
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ২০২১-১০-০৪ ১৪:২৫:১৯
যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে আজ সোমবার বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিএমও

আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘নতুন নির্বাচন কমিশন কিভাবে গঠিত হবে’ এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটা সার্চ কমিটি করবেন তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করবে। পরবর্তী নির্বাচন কমিশন ২০২৩ সাল শেষে ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করবে।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় গণভবনে উপস্থিত থাকার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকেও ভিডিও কনফারেন্সে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন সাংবাদিকরা।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনে হয় রিফিউজি পালাটা একটা ব্যবসা কোনো কোনো সংস্থার জন্য। রিফিউজি না থাকলে তাদের চাকরিই থাকবে না। এটা হল আসল কথা।’ তিনি বলেন, অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকাণ্ডে মনে হয়, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে তাদের নিজ ভূমিতে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তাদের খুব বেশি আগ্রহ আছে বলে মনে হয় না।

শেখ হাসিনা বলেন,‘আমার কাছে একটা জিনিস মনে হয়, রিফিউজি থাকলে কিছু লোকের মনে হয় লাভই হয়। অনেক প্রস্তাব আসে রোহিঙ্গাদের জন্য এখানে অনেক কিছু করে দিতে চায়। আমি সোজা বলে দিই, যান মিয়ানমারে, ওখানে ঘর করেন, ইশকুল করেন, এখানে করা লাগবে না। আমার কাছে যেটা মনে হয়, (তাদের কাছে) সব কিছুই যেন একটা ব্যবসা। অনেক সংস্থা আছে, যারা রোহিঙ্গা সঙ্কটের সমাধানে বরাবারই ভালো সাড়া দিয়ে যাচ্ছে। আবার কিছু সংস্থা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে সেই আগ্রহ দেখায় না।’  

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার এই চাপে কক্সবাজারের পরিবেশ ও প্রতিবেশের যে ক্ষত হচ্ছে, সে কথা জাতিসংঘে তুলে ধরার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেখানে নানা ধরনের অসঙ্গতি চলছে, নারী পাচার, শিশু পাচার, সবচেয়ে বড় ড্রাগ। এই ড্রাগ পাচারের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তারা (রোহিঙ্গারা)। যেটা আমাদের জন্য সবচেয়ে আশঙ্কাজনক। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলছি, এটা সেখানে হচ্ছে, আরও হবে, যদি প্রত্যাবাসন না হয়।’

ই-কমার্স ও এমএলএম কোম্পানির প্রতারণা ও লাখো মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের দুঃসময়ের সুযোগ নিয়ে কিছু মানুষ টাকা বানানোর জন্য যে প্রতারণা করে, এদের উপযুক্ত শাস্তি অবশ্যই হবে। আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন, আমরা বসে নেই। সাথে সাথে এগুলোকে ধরা হয়েছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘একবার যখন ধরা হয়েছে তখন টাকাগুলো নিয়ে কোথায় রাখলো, কী করলো, কী সম্পদ বানালো—সেটাও খুঁজে বের করা হবে এবং আমরা চেষ্টা করে যাবো এগুলো যদি ফেরত আনা যায়, তাদের হাতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করবো। ’ সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ