ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
রিংআইডি: ফুলেফেঁপে উঠছে আরও এক পঞ্জি ব্যবসা
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ২০২১-০৯-২৩ ০৫:১৪:৪৬

ভাবুন তো, অনলাইনে স্রেফ বিজ্ঞাপন দেখেই প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা আয়ের সুযোগ পেয়ে গেলেন। ব্যস, নেমে পড়লেন টাকা কামাতে। সেইসঙ্গে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে এলেন বিজ্ঞাপন দেখতে, তার বিনিময়ে আপনি পেলেন কমিশন।

কি, প্রস্তাবটা অবিশ্বাস্য লাগছে? অবিশ্বাস্য মনে হলেও, ব্যাপারটা সত্যি। এমন অফার দিচ্ছে রিংআইডি।

নামটা আপনার কাছে পরিচিত লাগতে পারে। সরাসরি খেলা সম্প্রচার এবং অনেক টিভি চ্যানেলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান স্পন্সর করার সুবাদে নামটা অনেকের কাছেই সুপরিচিত।

এসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও প্ল্যাটফর্মটি উপরে বলা উপায়ে টাকা উপার্জনের অফারও দিয়ে থাকে। ১২ হাজার ও ২২ হাজার টাকা দিয়ে প্ল্যাটফর্মটির সিলভার ও গোল্ড সদস্য হয়ে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও ‘রেফারি’ হিসেবে কাজ করে নতুন গ্রাহক আনলেও পাওয়া যায় কমিশন।

এভাবেই একটা মাল্টি-লেভেল মার্কেটিং কোম্পানির পিরামিড আকারের অর্থ উপার্জন স্কিমে ঢুকে পড়েছেন প্রায় ছয় লাখ মানুষ। এদের বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থী।

কিন্তু এমএলএম স্কিমের মতো রিংআইডিও যদি উঠে যায়, তাহলে এই ক্ষতি পোষানোর রাস্তা খুঁজে পাবেন না কেউ।

বিজ্ঞাপন দেখে কীভাবে সদস্যরা অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, সেই ব্যাখ্যা দেয়নি প্ল্যাটফর্মটি। কিন্তু লোভনীয় অফারটি দেখে সামলাতে পারেননি বহু বেকার শিক্ষার্থী।

এই উদ্যোগের পেছনের দুই কুশীলব হলেন কানাডাপ্রবাসী বাংলাদেশি দম্পতি শরিফ ইসলাম ও আইরিন ইসলাম। শরিফুল রিংআইডির প্রধান নির্বাহী, আইরিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এই দম্পতি বলেন, তাদের উদ্দেশ্য ‘বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা’। কিন্তু অবৈধ আন্তর্জাতিক কল ব্যবসা ও সরকারের বকেয়া পরিশোধ না করায় একাধিক মামলায় জেল খেটেছেন এই দম্পতি।

বিনিয়োগকারীরা ইতিমধ্যে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন। সম্ভাব্য অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত শুরু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করছেন তারা। যদিও রিংআইডির স্থানীয় নির্বাহী কোনো ধরনের আইনবিরুদ্ধ কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন। আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীও এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অর্থপাচার ঠেকানোর জন্য সতর্ক রয়েছেন।

যেভাবে কাজ করে প্ল্যাটফর্মটি নিজেদের ‘কমিউনিটি বিজনেস’ বলে পরিচয় দেয়। নতুন সদস্য আনতে পারলে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া দেওয়া হয়। এভাবে এখানে সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়।

বিজ্ঞাপন দেখা ও শেয়ার করা, নতুন সদস্য আনা, প্ল্যাটফর্মটির পণ্য বিক্রি ও রিংআইডি মুদ্রা লেনদেনের জন্য শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হয়।

লোভনীয় অফারে আকৃষ্ট হয়ে পুরনো সদস্যরা তাদের পরিবারের সদস্যদ, বন্ধু এবং পরিচিতদের রিংআইডি প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসেন।

তবে বিজ্ঞাপন দেখে টাকা উপার্জনের জন্য প্রথমে সদস্যপদ কিনতে হয়। রিংআইডি এখন দুই ধরনের সদস্যপদ দেয়—সিলভার ও গোল্ড।

সিলভার ক্যাটাগরির মেম্বারশিপের জন্য রিংআইডি ১২ হাজার টাকা চার্জ নেয়। এই ক্যাটাগরিতে প্রতিদিন ৫০টি বিজ্ঞাপন দেখে ২৫০ টাকা আয়ের সুযোগ রয়েছে।

গোল্ড ক্যাটাগরির সদস্যপদ কেনার জন্য খরচ করতে হয় ২২ হাজার টাকা। এই ক্যাটাগরির সদস্যরা দিনে ১০০টি বিজ্ঞাপন দেখে ৫০০ টাকা আয়ের সুযোগ পান।

সিলেটের রিংআইডি এজেন্ট মুস্তাফিজুর রহমান রোববার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, এই সিস্টেমের মাধ্যমে ইন্টারনেট খরচ বাদে একজন সিলভার সদস্য মাসে ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং গোল্ড সদস্য ১৫ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

অর্থ লেনদেন হয় বিকাশ, নগদ, রকেট, শিউরক্যাশের মতো মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে। এ ব্যবসায় একটা মোবাইল নম্বর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্ল্যাটফর্মটিতে নতুন সদস্য যোগ করার জন্য রেফারি হিসাবে কাজ করা পুরনো সদস্যকে কোম্পানিটি ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা দেয়।

এছাড়াও সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা রিংআইডির নিজস্ব এজেন্টদের মাধ্যমেও লেনদেন হয়।

সূত্র জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মটিতে এখন ৬০০-র বেশি এজেন্ট রয়েছে। এজেন্ট রয়েছে তিন ক্যাটাগরির—সিলভার, গোল্ড ও ডায়মন্ড। অর্থের বিনিময়ে এসব এজেন্ট নেয় প্রতিষ্ঠানটি। সিলভার, গোল্ড ও ডায়মন্ড ক্যাটাগরির এজেন্ট হওয়ার জন্য যথাক্রমে ১ লাখ, ২ লাখ ও ৫ লাখ টাকা নেয় রিংআইডি।

এছাড়াও রিংআইডি অ্যাপে কোম্পানিটির ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন ব্যবসাও রয়েছে। প্রতি কয়েনের মূল্য ৮৬ টাকা। সদস্যরা এসব কয়েনকে টাকায় রূপান্তরিত করতে পারেন এবং মোবাইল আর্থিক পরিষেবার মাধ্যমে এসব টাকা ওঠাতে পারেন।

মহামারিতে কপাল খুলেছে রিংআইডির সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম রিংআইডি ডিজাইন ও ডেভেলপ করেছে কানাডার মন্ট্রিলের রিং ইনকর্পোরেশন। রিংআইডি চালু হয় ২০১৬ সালে।

চালু হওয়ার পর থেকে রিংআইডি পরিচিত ছিল সরাসরি সম্প্রচার, ভয়েস ও ভিডিও কল, টিভি চ্যানেল, নিউজ পোর্টাল, তাৎক্ষণিক মেসেজিং, স্টিকার, মিডিয়া ক্লাউড, নিউজফিড, গোপন চ্যাট, মাল্টিমিডিয়া শেয়ারিং—এসবের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে।

কিন্তু গত বছর থেকে করোনা মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অলস বসে থাকা বেকার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যবস্তু করতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

ঘরে বসে শর্টকাটে অর্থ উপার্জনের অফার ও ফেসবুকে চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষ করে ছাত্রদের আকৃষ্ট করতে শুরু করে কোম্পানিটি।

নিজেদের কমিউনিটি জবের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি সারা দেশে অর্থ উপার্জনের ব্যবসা শুরু করে।

উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরা: কুড়িগ্রামের মোহাম্মদ রিয়াজুল ইসলাম এখন এই কোম্পানির অস্তিত্ব নিয়েই সন্দিহান। গত ২ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি এই কোম্পানি ও এর কার্যক্রম বৈধ কি না, সে সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।

এখন পর্যন্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৬ লাখ মানুষ দ্রুত টাকা কামানোর আশায় নিজেদের কিংবা বাবা-মার সঞ্চয় রিংআইডিতে বিনিয়োগ করেছেন।

কিন্তু বিনিয়োগ করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বেশিরভাগই অর্থ উপার্জন করতে ঝামেলায় পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সমস্যা পড়ার কারণ, রিংআইডি তাদের বিজ্ঞাপন দেখতে দেয়নি—এমনকি তাদের ব্যালেন্সে থাকা টাকাও ওঠাতে দেয়নি।

রিংআইডি সদস্য মো. আসাদুল শেখ বলেন, এজেন্টরা তাকে ক্যাশআউট দিচ্ছে না বলে ঝামেলায় পড়ছেন তিনি।

বিনিয়োগকারীরা এখন আশঙ্কা করছেন, অচিরেই দেখা যাবে রিংআইডিও কয়েক বছর আগে উদয় হওয়া অর্থ উপার্জনকারী প্ল্যাটফর্ম ডুনেন্সারের মতো আরেকটা আর্থিক কেলেঙ্কারি। ডুনেন্সারের মালিকরা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করার পর পালিয়ে যায়।

কিছু সদস্যের অভিযোগ, নিজেদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান অর্থ উপার্জন করার পর থেকেই তারা টাকা উপার্জন করতে এবং ক্যাশআউট করতে ঝামেলায় পড়ছেন।

বিজয় আহমেদ তাসকিন নামের এক বিনিয়োগকারী সিলভার সদস্য হওয়ার জন্য ১২ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বলেন যে, তাকে কয়েকদিন ধরে ক্যাশআউট করতে দেওয়া হচ্ছে না।

ভুক্তভোগীরা এখন রিংআইডির ব্যবসায়িক মডেল খতিয়ে দেখতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ও গণমাধ্যমের হস্তক্ষেপ চাইছেন।

আর্থিক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটা এক ধরনের প্রতারণা। কারণ এতে বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করা হয় এবং নতুন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে পুরনো বিনিয়োগকারীদের মুনাফা দেওয়া হয়।

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, কখনও কখনও এই ধরনের কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা প্রতারণার শিকার হন।

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় ই-কমার্স খাতে সম্প্রতি কিছুদিন ধরে যে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তা এড়ানোর জন্য সতর্কতা হিসেবে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উচিত এই কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখা।’

আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সন্দেহ, রিংআইডি বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে বলে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে অর্থ পাচার হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটিকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছে।

এদিকে রিংআইডি বলেছে যে অর্থপাচারের কোনো সুযোগ নেই, কারণ এটি রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে (আরজেএসসি) নিবন্ধিত স্থানীয় কোম্পানি।

বিদেশে বসবাসরত মালিকদের অনুপস্থিতিতে রিংআইডি বিডি লিমিটেডের ব্যবসা চালান কোম্পানিটির হেড অভ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স জুলহাজ জুবায়ের। তিনি বলেন, ‘শেয়ারিং এবং উপার্জনের মাধ্যমে পরিচালিত আমাদের কমিউনিটি ব্যবসা কোনো পঞ্জি স্কিম বা এমএলএম ব্যবসা নয়। আমরা সব ধরনের স্থানীয় আইন ও নিয়ম মেনে ব্যবসা করছি।’

প্রতিষ্ঠানটির সিইও ও এমডি বিদেশে থাকলেও, তারা কেউই কানাডার নাগরিক নন বলে জানান জুলহাজ জুবায়ের।

রিংআইডি সম্পর্কে জানতে চাইলে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) খন্দকার আল মঈন টিবিএসকে বলেন, র‍্যাব সবসময় অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এমএলএম ব্যবসার নামে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডকে পর্যবেক্ষণে রাখে।

তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনীয় তদন্ত শেষ করে আমরা রিংআইডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

এদিকে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের এক কর্মকর্তা টিবিএসকে বলেন, তাদের সন্দেহ, বিদেশ থেকে পরিচালিত প্ল্যাটফর্ম রিংআইডি অর্থপাচার করছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্ল্যাটফর্মটিকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। জোরালো ও স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলেই আমরা ওদের বিরুদ্ধে মামলা করব।’

অতীত ইতিহাস: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মামলায় ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর আইরিন ইসলাম ও তার স্বামী শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেপ্তারের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

রিংআইডি ছাড়াও দম্পতি ক্লাউড টেল লিমিটেড নামক একটি ইন্টারকানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) অপারেটর এবং ভিশন টেল লিমিটেড নামক একটি আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরের মালিক। দুটি প্রতিষ্ঠানই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ভয়েস কল নিয়ে কাজ করে।

উপরোক্ত কোম্পানি দুটির মাধ্যমে অবৈধ আন্তর্জাতিক কল করার জন্য এবং বার্ষিক লাইসেন্স ফি, প্রফিট শেয়ার ও বিলম্ব ফিসহ ২৪০ কোটি টাকার বেশি না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল এই দম্পতির বিরুদ্ধে।

বিটিআরসির নির্দেশিকা অনুযায়ী, আইজিডব্লিউ লাইসেন্সধারীকে তাদের বার্ষিক আয়ের ৫১ দশমিক ৭৫ ভাগ এবং আইসিএক্স লাইসেন্সধারীকে তাদের আয়ের ৫০ শতাংশ নিয়ন্ত্রক কমিশনকে দিতে বাধ্য।

কিন্তু আইরিন ইসলাম ও শরিফুল বিটিআরসিতে টাকা জমা দেননি।

ইংরেজি দৈনিক নিউ নেশন ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সেই সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দম্পতির এই দম্পতির বাংলাদেশি পাসপোর্টও জব্দ করেছিল। কিন্তু কয়েক মাস পর তারা দুজনেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পান।

এরপর রিংআইডির প্রধান নির্বাহী আইরিন ইসলাম কানাডিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশ থেকে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে রিংআইডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলামও দেশ ছেড়ে কানাডায় পালিয়ে যান।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই দম্পতির কাছে বিটিআরসির পাওনা ১৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৫০ কোটি টাকা পায় ভিশন টেল লিমিটেড এবং বাকি টাকা পায় ক্লাউড টেলের কাছে। কিন্তু টেলিকম নিয়ন্ত্রক ২০১৫ সালের ৬ জুলাই ভিশন টেল লিমিটেডের লাইসেন্স বাতিল করেছে।

পাওনা টাকার কথা নিশ্চিত করে বিটিআরসির মহাপরিচালক (অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগ) প্রকৌশলী মো. মেসবাহউজ্জামান বলেন, ‘বিটিআরসি আইন অনুযায়ী আমরা বকেয়া আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।’

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ