ঢাকা মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
নরসিংদীর দুই পৌরসভার কর্মকর্তাদের বেতন বাকী
  • নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৯-১৬ ০৩:২৯:২৩

নরসিংদী জেলার রায়পুরা পৌরসভার কর্মকর্তাদের বেতন বাকী ফান্ডে টাকা নেই তাই, আর মাধবী পৌরসভার মেয়র এর আন্তরিকতার অভাবে মাধবদী পৌরসভার কর্মকর্তাদের বেতন বাকী বলে জানাযায়।

২০০৫ সালে রায়পুরা পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় অপরিকল্পিত যেখানে পৌরসভার কোন প্রয়োজন ছিল না। মাত্র ৭.২৫ বর্গ কিলোমিটারের ডোবা নালা গ্রাম অঞ্চলের মত স্থানে যেখানে জনসংখ্যা ও কম ছিল। বর্তমানে প্রায় ত্রিশ হাজার ভোটার থাকলেও তেমন কোন উন্নত জীবন যাত্রা নেই পৌরসভার নাগরিকদের। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দু-একটি রাস্তা ব্যতিত তেমন কোন উন্নত রাস্তা নেই, নেই কোন ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাতের বেলা প্রায় স্থানেই অন্ধকারাচ্ছন্ন। সার্বিক দিক বিবচেনায় রায়পুরা পৌরসভার অনুপযোগী। 

এব্যপারে রায়পুরার পৌরসভার সচিব মনিরুজ্জামান মনির এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন গরীব এলাকায় পৌরসভা, প্রায় ৮০ ভাগ লোক কৃষক, নেই কোন শিল্প কলকারখানা এখানে পৌরসভার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হচ্ছে না। পৌরসভার নিজস্ব কোন ভবন নেই। ফান্ড নেই বিধায় অল্প সংখ্যক জনবল দিয়ে কাজ করছি। সচিব, প্রশাসন, স্বাস্থ্য, প্রকৌশলী, আমরা এক এক জনে তিন জনের কাজ করছি সম্পূর্ণ জনবল থাকলে কমপক্ষে এক বছরের বেতন বাকী থাকত। এখন কয়েক মাসের বেতন বাকী বলে তিনি জানান, গ্রেজুয়েটি নেই, পিএফ ফান্ড নেই কারন পৌরসভার ফান্ডের টাকার অভাবে বেতন বাকী, অন্য সব আসবে কোথা হইতে?  রায়পুরা পৌরসভা ১৯১৭ সালে  ২য় শ্রেণীতে পরিনত হলেও মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হয়নি। রায়পুরা পৌরসভার অনেক নাগরিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পৌরসভার উন্নয়ন এর জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন রায়পুরার পৌরসভার জনগন। পৌরসভার কর্মকর্তারা সরকারের নিকট দাবি করেন দেশের সব পৌরসভার কর্মকর্তাদের বেতন যেন সরকারি ফান্ড থেকে দেওয়া হয়।

শিল্প কলকারখানা সমৃদ্ধ প্রথম শ্রেণীর মাধবী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ০২/০৭/১৯৯৪ইং সালে। ১১ টি মহল্লা নিয়ে মাধবদী পৌরসভার আয়তন ৬.০৯ বর্গকিলোমিটার। মোট জনসংখ্যা ১৭৫০০০ জন। যার বেশির ভাগই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের বসবাস। তাই ভোটারের সংখ্যা কম, মাত্র ২৭৭০৬ জন। তবে ছোট আয়তনের পৌরসভা হলেও ঘন বসতির কারণে জনসংখ্যা বেশি, আয়তনের অনুপাতে ভোটারও বেশি। এই পৌরসভার জনবল কর্মকর্তা কর্মচারী ৪৫ জন প্রয়োজনের তুলনায় কম নয়, ঠিকই আছে বলে জানান মাধবদী পৌরসভার সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল। বেতন বাকী ব্যপারে প্রশ্ন করলে তিনি সঠিকভাবে জবাব দেননি, গ্রেচুয়েটি, পিএফ ফান্ডের কথাও গোপন করেন ঠিক মত জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক কর্মকর্তা জানান শিল্প কলকারখানা সমৃদ্ধ পৌরসভা বেতন বাকী থাকবে কেন? মেয়রের আন্তরিকতার অভাব তাই আমদের বেতন বাকী পাঁচ মাসের। পৌরসভার নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় এবং সরজমিন ঘুরে দেখা যায় শিল্প কলকারখানা সমৃদ্ধ এই পৌরসভায় বড় বড় বহু অট্টালিকা যাহা দেশের অন্যান্ন অনেক পৌরসভাগুলোতেই নেই। কাপড়ের বড় বড় দোকান গোডাউন, ডাইং প্রিন্টং টেক্সটাই ও অন্যান্ন শিল্প কলকারখানা সমৃদ্ধ পৌরসভা। তবে রাতের বেলায় পৌরসভার পর্যাপ্ত আলোকিত বাতি নেই, ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিমাণ মত নেই, মশার উপদ্রুত বেশি, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কম। অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে ঘর বাড়ি তাই অলিগলি মহল্লার ভিতরে বহু রাস্তা সরু, রিক্সাও চলাচল করতে পারেনা। পৌরবাসীরা জানান সন্ত্রাসের অভয় অরুন্য এই পৌরসভা সন্ত্রাসী কার্যকালাপের কারণে কয়েক মাস আগে মেয়রের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। মাধক ও অসামাজিক কার্যকলাপে সয়লাবের ফলে আতংকিত পৌরসভার বসবস কারীরা। তবে দুই চারটি প্রধান রাস্তা দেখার মত মজবুত ও চওড়া হয়েছে।   

দুইবারের নির্বাচিত মাধবদী পৌরসভার মেয়র মোশাররফ হোসেন মানিক একজন শিল্পপতি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। বার বার স্বাক্ষাতের জন্য মাধবদী পৌরসভায় গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ