করোনাভাইরাস আতঙ্কের মাঝেও মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট নিয়োগে উঠেছে অনিয়মের অভিযোগ। সংক্রমণের শুরু থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে স্বেচ্ছায় কাজ করা ১৮৩ জন টেকনোলজিস্টকে স্থায়ীভাবে নিয়োগের কথা থাকলেও সাক্ষাৎকারে ডাক পেয়েছেন ভিন্ন ব্যক্তি। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বাণিজ্যেরও। যদিও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, সময়মতো নামের তালিকা না পাঠানোর কারণে নিয়োগ দেয়া যায়নি তাদের।
জাহিদুল ইসলাম। মেডিকেল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা শেষ করেছেন ২০১৫ সালে। করোনাযুদ্ধে স্বেচ্ছায় কাজ করতে চাইলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে অস্থায়ী মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট হিসেবে যোগ দেন ১৩ মে।
৮ জুন ১২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে আগে থেকে অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়া স্বেচ্ছায় কাজ করা এমন আরো ১৮৩ জনকে স্থায়ী নিয়োগ দিতে নির্দেশনা দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। সে কাজ এগিয়েছে অনেকদূর। কিন্তু তাতে নেই জাহিদুলের মতো অনেকের নাম, যারা সংকটকালে এগিয়ে গেছেন সেবায়।
নিয়োগ প্রক্রিয়ার শুরুতে, নাম চাওয়া হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক পরিকল্পনা, আইইডিসিআর, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ল্যাব থেকে স্বেচ্ছায় কাজ করা টেকনোলজিস্টদের তালিকা পাঠায়। কিন্তু সাক্ষাতকারের জন্য ডাক পাওয়াদের অধিকাংশই সেই তালিকার নয় বলে অভিযোগ। নিয়োগ সংক্রান্ত একিট টেলিফোন আলাপও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের হাতে এসেছে।
যদিও সাক্ষাৎকারের পর দেখা গেছে অধিকাংশই মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদের জন্য তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা কোর্সের শর্ত পূরণ করেন না। এ বিষয়ে চিঠি লিখে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়েছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি তার কাছ থেকে।
এই পদে নিয়োগ নিয়ে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েন গড়ায় আদালত পর্যন্ত। সাড়ে তিন বছর আগে ভুক্তভোগীদের পক্ষে রায় দেন উচ্চ আদালত। তবু নিয়োগ হয়নি।
এই সংকটকালেও শূন্য পড়ে আছে এক হাজার ২০০ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের পদ।