ঢাকা মঙ্গলবার, মে ৭, ২০২৪
ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার ভূমি‘র অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
  • দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৮-২৩ ০৭:৫০:৩৮

সরকারি খাস জলাশয়়(পুকুর) বরাদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহনের মাধ্যমে লীজ দেয়াসহ নানান অনিয়মে লিপ্ত থাকার অভিযোগে কাহারোল ইউএনও মনিরুল হাসান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মীর মোঃ আল কামাল তমাল-এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্থানীয়রা।

২৩ আগষ্ট সোমবার সকালে স্থানীয় এলাকাবাসী ও অসহায় মৎস্যজীবিদের আয়োজনে  দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার আমতলা মোড়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, অসহায় মৎস্যজীবীদের জীবিকা নির্বাহের জন্য স্থানীয় কয়েকটি জলাশয় মৎস্যজীবীদের বরাদ্ধ ও বন্টন এর জন্য এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং জেলা প্রশাসক নিদের্শনা দিলেও মিথ্যা এবং ভুয়া মনগড়া আপত্তি  উপস্থাপন করে (এনওসি) অনাপত্তি পত্র দেয়নি কাহারোল উপজেলা ইউএনও এবং সহকারী কমিশনার ভুমি । সরকারি কর্মকর্তাদ্বয় স্বীয় স্বার্থে সরকারি রাজস্ব আয় বাধাগ্রস্থ করছেন, বেশি টাকা দরে জলমহল নিতে ইচ্ছুক দরদাতাকে পুকুর বরাদ্ব না দিয়ে কম দর দেওয়া ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারি জলমহল বরাদ্দ দিয়ে নিজেরাই আর্থিক সুবিধা নিয়েছে। 

তারা আরো বলেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ৪০ জন সুফলভোগি মৎসজীবীসহ এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে পুকুর খননের এনওসি'র জন্য আবেদন করেন অজ্ঞাত কারণে ইউএনও মনিরুল হাসান এবং সহকারী কমিশনার ভুমি মীর মোঃ আল কামাল তমাল অনাপত্তি পত্র না দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্যোগকে ভুলন্ঠিত করছে এবং সরকারি উন্নয়নমূলক কাজকে একাধারে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে, আমরা এমন কর্মকর্তার দ্রুত অপসারণ চাই । 

মানববন্ধনে হাসুয়ারা মৎসজীবি সমিতির সভাপতি মো: আব্দুল কাদের এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,আব্দুল মতিন,মো: আতাউর রহমান,সুকুমার রায়, আফসার আলী, লিটু রায় ও জ্যোতিষ রায় প্রমুখ। কাহারোলের কৃষক, মৎস্যজীবি, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের অভিযোগ দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের সকল কর্মকান্ড তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। অসৎ দুর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের হাত থেকে কাহারোল উপজেলাবাসীকে রক্ষায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

এব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউএনও কাহারোল মনিরুল হাসান জানান, সংশ্লীষ্ট বিষয়ে দিনাজপুর জেলা প্রশাসককে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানিয়েছি। 

উল্লেখ্য, উপজেলার ১ নং ডাবোর ইউনিয়নের সৈয়দপুর মৌজার  নাহার পুকুর ও ২ নং রসুলপুর ইউনিয়ন এর ভরন্ডা মৌজার ডুলি পুকুরের প্রাক্কলন ইষ্টিমেট প্রকল্প পরিচালকের কাছে পাঠানো'র পরেও শুধুমাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল হাসান এবং সহকারী কমিশনার ভূমি মীর মোঃ আল কামাল তমাল কতৃর্ক অনাপত্তি পত্র না দেয়ায় সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে। ফলে স্থানীয় হতদরিদ্র, শিক্ষিত বেকার যুবক, মৎস্যচাষী ও সুফলভোগীরা অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ