ঢাকা সোমবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
বারী-৪ জাতের আম কোটি টাকা বিক্রির পরিকল্পনা
  • দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৮-১৪ ০০:৪২:২৫

ফলের রাজা আম। আম সাধারনত মধু মাস জৈষ্ঠ্য মাসেই পাকে। রসালো এই আম সবার নিকট প্রিয় একটি ফল। এই শ্রাবন মাসের শেষের দিকে বাজারে তেমন এটা আম পাওয়া যায় না। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ১৮ একর জমির উপর প্রায় ১ হাজার ৬ শতটি বারী-৪ জাতের  সুস্বাধু মিষ্টি আমের চাষ করে ইতোমধ্যেই তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জাকিউর ইসলাম জাকির (৩৮)। 

গত ২০১৫ সালের মাত্র ৬ একর জমিতে বারী-৪ জাতের আমের বাগান তৈরী করেই আম চাষের যাত্রা শুরু করেন । এখন ১৮ একর জমির সিংহ ভাগ জমিতেই বারী-৪ জাতের আম চাষ করেছেন। এছাড়া তার আম বাগানে আম্রাপালি, সূর্যমুখী, কাঠিমন, বারী-১৪ সহ অন্যান্য জাতের আমের চাষ করেছেন। চলতি বছরেই এক কোটি টাকার আম বিক্রির করতে পারবেন বলে চলতি মাসের ১ তারিখ থেকেই আম বাগান থেকে আম  বিক্রি শুরু করেছেন।  


প্রতিটি আম গাছ ৬ ফুট দুরুত্ব রেখে লাগানো হয়েছে। অনায়াসে একজন ব্যাক্তি আম বাগানে যাতায়াত করতে পারে। প্রতিটি আম গাছ ৫ থেকে ৭ ফুট লম্বা হলেও আমের ভাবে গাছের ডাল ন্যুয়ে পড়ে যাওয়ায় বাঁশ দিয়ে বাচাইল তৈরী করতে হয়েছে। প্রতিটি আম গাছে ৭০ থেকে ১১০ টা পর্যন্ত আম রয়েছে। প্রতি আমের ওজন ৩ শত গ্রাম ৫ শত গ্রাম পর্যন্ত রয়েছে আবার কিছু কিছু  আমের ৭ শত গ্রাম পর্যন্ত ওজন রয়েছে। আমের বাগান দূর থেকে দেখার জন্য বাগানের মধ্যে ওয়াজ টাওয়ার তৈরী করা হয়েছে। যাতে করে কেউ আম চুরি কিংবা নষ্ট করতে না পারে। আম বাগান দেখা শুনার করার জন্য সর্বক্ষনিক ৭/৯ জন শ্রমিক কাজ করলেও এখন প্রতিদিন ১৫/১৮ জন শ্রমিক কাজ করছে। এতে করে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। 

আম বাগানের শ্রমিক আবু তাহের বলেন, আম বাগান শুরু  থেকেই  পরির্চচা করছে। আগামীতেও আম বাগানের  আম গুলিকে কাগজে মোড়ানোর পরিকল্পনা আছে এতে করে আমের আকৃতি বড় হয় এবং কীট নাশক মুক্ত থাকে। 

আম বাগানি জাকিরের ভাই সোহেল রানা বলেন, আমাদের আম বাগান দেখার জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আম বাগান তৈরীকারীরা আমাদের আম বাগান দেখার জন্য ভির করে। গত এক বছর ধরে আমাদের বাগানে আম আসতে শুরু করেছে তবে এবছর সবচেয়ে বেশি আম এসেছে। তবে  করোনা কালীন সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আম ব্যবসায়ীরা আমের জন্য আসতে পারছে না এবং কিছু আম পাইকার আসলেও তেমন ভাবে লাভবান হচ্ছে না ।  

ঢাকা থেকে আসা আম পাইকার মজিবুর রহমান বলেন, এ বছর লকডাউন আর করোনা কালিন সময়ে অধিকাংশ যানবাহন বন্ধ থাকায় আমের এখন চাহিদা থাকলেও আমের দাম কম। তবে এখন লকডাউন উঠানো হয়েছে তাই পর্যায় ক্রমে আমের দাম বাড়তে পারে। ঢাকায় আমের চাহিদা এখন বাড়ছে । 

চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা আমের পাইকার খায়রুল ইসলাম বলেন, এই আম বাগানে বারী ৪ জাতের আম বড় বড়, দেখতেও সুন্দর। এখন আমের চাহিদা বাড়ছে দামও বাড়তে শুরু হয়েছে। আশা করি আম বাগানিও দাম পাবে আর পাইকারও একটু লাভবান হবে।   

আম বাগানি জাকিউল ইসলাম জাকির বলেন, আজ থেকে চার বছর আগে স্বল্প পরিসরে আমের বাগান তৈরী করা হলেও এখন আমের ফলন, আমের চাহিদা আর দাম পাওয়ার সম্ভবনা কে কাছে লাগিয়ে আরোও বিভিন্ন জাতের চারা গাছ লাগানোর হয়েছে। চলতি বছরে সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে কোটি দাম পাওয়া যাবে আশা করছি। কৃষি বিভাগ আম বাগান তৈরী করতে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে এবং সর্বাক্ষনিক পরামর্শ প্রদান করছে।   

দিনাজপুর  কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক প্রতীপ কুমার গুহ বলেন  জেলায় সাড়ে ৫ থেকে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে । বছর ব্যাপি আমের যোগান দিতেই বারী-৪ জাতের আম চাষ করা হচ্ছে। এতে করে ভোক্তরা বছরের বেশির ভাগ সময় আম খেতে পারবে। এখন বাজারে তেমন আম নেই তাই বারী-৪ জাতের আম আছে, দেশের অন্যান্য জাতের আম শেষ হওয়ার এই বারী-৪ জাতের আম বাজারে আছে এতে করে ভোক্তাদের চাহিদাও এই আমের প্রতি একটু বেশি থাকে ।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ