ঢাকা বৃহস্পতিবার, মে ৯, ২০২৪
করোনা মহামারিতে ব্যবসায় উন্নতি: শীর্ষ কোম্পানি
  • Desk Report
  • ২০২০-০৬-২০ ২০:২৪:৫১

করোনাভাইরাস মরামারির দাপটে বিশ্ব অর্থনীতি বিপর্যস্ত। স্মরণকালের ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই পথে বসে গেছে। এরই মাঝে হু-হু করে আয় বাড়ছে কিছু কোম্পানির।

কী করে সেটি সম্ভব? এমনই ১০০টি কোম্পানির তালিকা প্রকাশ করেছে ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। চলুন, সেখান থেকে শীর্ষ ২০টির কথা জানা যাক:

অ্যামাজন
করোনাভাইরাসের কালে ব্যবসা ধরে রাখতে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা চিন্তা-ভাবনা করেছিল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ই-কমার্স কোম্পানি 'অ্যামাজন'। বিশ্বনেতারা যখন নিজ নিজ দেশের জনগণকে বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তখন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী জমা করার হিড়িক পড়ে যায়।

এ সময়ে গুদামগুলোতে 'অত্যাবশ্যক নয়'- এমন পণ্য জড়ো না করার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ বেজোস হুঁশিয়ার করে দেন, ভাইরাস প্রশমনে টেস্টিং ল্যাব ও থার্মাল ক্যামেরা-সহ বিভিন্ন খাতে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়ে যেতে পারে। আর তা অ্যামাজনকে ২০১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো বছরের প্রথম-চতুর্থাংশে লোকসানের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

তবু অনলাইন শপিংয়ের হিড়িক পড়ে যাওয়ায় এ সময়ে ৪০১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজার মূলধন (মার্কেট ক্যাপ) যোগ হয়েছে কোম্পানিটির।

মাইক্রোসফট
প্রযুক্তিখাতের এই জায়ান্ট আমেরিকান কোম্পানির টিমস কমিউনিকেশন অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছরের শেষদিকে ছিল দিনপ্রতি ২ কোটি। এ বছরের এপ্রিলে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৫০ লাখে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাসা থেকে অফিস করার ক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক হয়ে উঠেছে অ্যাপটি।

এ সময়ে কোম্পানিটির মূলধন বেড়েছে ২৬৯.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

অ্যাপল
প্রযুক্তিখাতের আরেক মার্কিন জায়ান্ট অ্যাপলের মূলধন বেড়েছে ২১৯.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বিশ্বব্যাপি ৫০০ বিক্রয়কেন্দ্র বন্ধ করতে বাধ্য হওয়া সত্ত্বেও এ বছরের প্রথম তিন মাসে আইফোন থেকে  ৫৮.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভাণ্ডারে এসেছে কোম্পানিটির। এছাড়া, নতুন আইফোন, আইম্যাক ও ম্যাকবুক এয়ার বাজারজাত করেছে তারা।

টেলসা
আমেরিকান অটোমোবাইল কোম্পানি টেলসার সর্বশেষ মডেলের গাড়ি 'এস: ৪০২ মাইলস' বাজারে দাবড়ে বেড়াচ্ছে। দাম বেশি হলেও এই কোম্পানির অন্য মডেলের গাড়ির বাজারেও খুব একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি করোনাভাইরাস। বরং মূলধন বেড়েছে ১০৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

টেনসেন্ট
চীনা এই প্রযুক্তি কোম্পানি এ বছরের প্রথম তিন মাসে অনলাইন গেমিং থেকে ৩১ শতাংশ আয় করেছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঘরে থাকা চীনা নাগরিকরা অনলাইন গেমে নিজেদের ব্যস্ত রাখতে পছন্দ করেন। টেনসেন্টের 'হরর অব কিংস' গেমটি ইতোমধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

ব্যবহার বেড়েছে অন্যান্য গেমেরও। করোনাকালে ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূলধনে যোগ হয়েছে টেনসেন্টের।


মূলধন বেড়েছে, এমন তালিকার শীর্ষ দশে আরও আছে ফেসবুক (৮৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), এনবিডিয়া (৮৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), অ্যালফাবেট (৬৮.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), পেপাল (৬৫.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এবং টি-মোবাইল (৫৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

মূলধন বাড়ার বিচারে বিলিয়ন মার্কিন ডলার হিসেবে ১১ থেকে ২০-এর মধ্যে যথাক্রমে রয়েছে: পিনডুডু (৫৫.২), নেটফ্লিক্স (৫৫.১), মেইটুয়ান ডায়ানপিং (৫৩.৬), সপিফাই (৫১.৪), জুম ভিডিও (৪৭.৯), জেডি ডটকম (৪৪.৩), অ্যাডোবি (৪০.১), অডি (৩৭.৮), অ্যাবভিয়ে (৩৭.৭) ও কিয়েঞ্চো মুতাই (৩৫.৫)।

 

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ