ঢাকা শনিবার, মে ৪, ২০২৪
আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পেয়ে আনন্দিত সুবিধাভোগীরা
  • দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৮-১০ ০২:২০:১২

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের বালুপাড়ায় সুপরিকল্পিত ভাবে  সরকারী খাস জমিতে ছোট যমুনা নদীর  তীরে মনোরম পরিবেশে একই স্থানে ২৪৩ টি বাড়ী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার উপহার পেয়েছেন । এসব ঘরে রয়েছে আধুনিক ও উন্নত জীবন যাপনের সকল সুযোগ সুবিধা। ঠাই ঠিকানাহীন মানুষের এতে বদলে গেছে জীবনযাত্রা। সরকারী ভাবে ঘর প্রাপ্তিরা অনেকেই সবজির গাছ আর কিছু ফলের গাছ লাগিয়ে পরিবেশটাকে আরোও মনোরম করেছে । 

জেলা প্রশাসন বলছে, জেলার সব ঘরগুলো হয়েছে শতভাগ মানসম্পন্ন। আর ঘর নির্মাণে কোনো অভিযোগ নেই সুবিধাভোগীদের। আর তাদের জীবনমান উন্নয়নেও নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তাই নজরকারা ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এসব হতদরিদ্র মানুষরা। ঘর প্রাপ্তিদের বিভিন্ন প্রশিক্ষন প্রদান করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার মাধ্যমে এদেরকে মুল ধারায় আনা হবে। এতে করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে তাদেরও অবদান থাকবে । 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলায় ৩ হাজার ২২ টি  ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হরেয়ছে । যারা কখনো স্বপ্নেও ভাবেননি পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারবেন। সেই স্বপ্ন তাদের সত্যি করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুই শতক খাস জমিসহ দুই কক্ষবিশিষ্ট এসব ঘরে আধুনিক জীবনযাপন করছেন তারা। নজরকারা এসব ঘরে রয়েছে পানি ও বিদ্যুৎসহ প্রতিটি গৃহে ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে ও লাল টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি দুটি কক্ষ, একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। এসব ঘর পেয়ে খুশির শেষ নেই যেন তাদের।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালুপাড়া গ্রামের জরিনা বেগম  বলেন, আগে আমার ঘর বাড়ি ছিল না। ভারী কোনো কাজও করতে পারতাম না। প্রধান শেখ হাসিনা আমাকে একটি বাড়ি করে দিয়েছেন, বাড়ির সামনে কিছুটা জায়গাও দিয়েছেন। সেই জায়গায় আমি একটি দোকান করেছি। এখন পরিবার নিয়ে অনেক ভালো আছি।

বালুপাড়ার আব্দুস সালাম বলেন, পাকা বাড়িতে কোনদিন ঘুমাতে পারবো তা স্বপ্নেও ভাবিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমাদের বাড়ির কাছেই বাজার রয়েছে, তাই কোনো অসুবিধা আমাদের হয় না। ঘরগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার স্ত্রীকে একটি সেলাই মেশিনও দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা আমার জানা নেই।

ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিয়াজ উদ্দীন বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘর খয়েরবাড়ী বালুপাড়ায় ২৪৩ ঘর তৈরী করা হয়েছে । এই আশ্রয়ন প্রকল্পে মুসলিম পরিবার ও হিন্দু পরিবারও রয়েছে । এক পার্শ্বে হিন্দুর পরিবারগুলি রয়েছে অন্যদিকে মুসলিম পরিবার গুলি রয়েছে । আশ্রয়ন প্রকল্পে কিছু পরিবার এখনও উঠে নাই তবে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ঘরে উঠে যাবে । প্রতিটি বাড়ীতে বিদ্যুতের লাইন লাগানো হচ্ছে । তবে এখানে কিছু ত্রুটি বিচ্ছতি থাকতে পারে সেই জন্যে এখানে একটা অভিযোগ খাতা দেওয়া হয়েছে । যতি ঘরের কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ঘরের ক্রমিক নাম্বরসহ খিলে রাখলে আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে সমাধান করা হয় ।  

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী বলেন জেলা পর্যায়ে একটা হাই পাওয়ারের একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে । প্রতিটি উপজেলায় হাই হাই পাওয়ারের কমিটি  নিয়মিত তদারকি ও আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার কারণে ঘরের নির্মাণ কাজ শতভাগ মানসম্পন্ন হয়েছে। ঘর নির্মাণে সুবিধাভোগীরা কোনো অভিযোগও করেনি। তারপরও যদি কোন  ঘরের সমস্যা দেখা দেয় তাৎক্ষনিক ভাবে সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে । 

তিনি জানান, এই ঘর নির্মাণ করেই শুধু শেষ নয়। তাদের আয় বর্ধনমূলক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এছাড়াও জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি সেখানে রাস্তা, পানির ড্রেন, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, বাচ্চাদের স্কুল, মসজিদ, মন্দির  নির্মানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, যেসব ভূমিহীনরা এখনো ঘর পাননি, তাদের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামীতে বরাদ্দ স্বাপেক্ষে তাদেরও ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ