ঢাকা শনিবার, মে ৪, ২০২৪
সেচের মাধ্যমে আমন ধান চাষে ব্যস্ত কৃষক
  • উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৮-০৯ ২৩:৪৩:৩৩

বর্ষার ভরা মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নাই। তবে কখনো কখনো আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলেও দু এক ফোটা বৃষ্টি হয়। আবহাওয়ার এই বৈরিতায় বৃষ্টির অপেক্ষায় প্রহার গুনছে এ উপজেলার আমন ধান চাষীরা। কাঙ্খিত বৃষ্টির অভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের আমন ধানের চারা রোপন। প্রকৃতির বৈরি আচরণে শ্যালো ইঞ্জিন, গভীর, অগভীর নলকুপ সেচই একমাত্র ভরসা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা গেছে, মোট আবাদি জমির পরিমান ২৬ হাজার ৯ শত ২৮ হেক্টর। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৫ শত ৩৬ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ১৭ হাজার ৭০ শতাংশ জমিতে আমন চারা রোপন করা হয়েছে। আমন চাষের জন্য প্রয়োজন ৩ শত ৬০ থেকে ৪ শত মিলিমিটার বৃষ্টি। এ উপজেলায় মে থেকে আগষ্ট মাস পর্যন্ত সেই পরিমান বৃষ্টি হলেও জমিতে জমাট বাধেনি পানি। ওই বৃষ্টির পানি দিয়ে খাল-বিল ভরে গেছে মাত্র। এমন বৈরি আবহাওয়ার কারনে বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক গভীর, অগভীর নলকুপের পানি দিয়ে আমন চারা রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করছে। এজন্য কৃষককে প্রতি ঘন্টায় ১ শত টাকা বা তার থেকে বেশি গুনতে হচ্ছে। 

উলিপুর পৌর সভার, গুনাইগাছ ইউনিয়ন ও বজরা ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি কিন্তু বৃষ্টির দেখা নাই। এভাবে জমি ফেলে রেখে লাভ নাই তাই বাধ্য হয়ে লছ হলেও আমন আবাদ করতে হচ্ছে।
 
এদিকে উপজেলার পাট চাষীরাও বৃষ্টির অভাবে হতাশ। খালে বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় একমাত্র বুড়ি তিস্ড়া নদীর উপর পাট জাগ দিতে হচ্ছে। বুড়ি তিস্ড়া নদীতে যে পানি রয়েছে সে পানির অবস্থা খুবই খারাপ। এই পানিতে পাট জাগ দিয়ে পাটের আঁশ ছাড়ানোর পর পাটের আঁশের সোনালী রং থাকছে না। অনেকেই পারিবারিক পুকুরে ইউরিয়া সার দিয়ে পাটের প্রকৃত রং ফেরানোর চেষ্টা করছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, বৃষ্টিপাত কম হলেও কৃষক আমন চাষে যথেষ্ট আগ্রহী। ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৭০ শতাংশ আমন চারা রোপন হয়ে গেছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষককে বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ