ঢাকা রবিবার, মে ৫, ২০২৪
দুই উপজেলার সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন
  • নরসিংদী প্রতিনিধিঃ
  • ২০২১-০৮-০৪ ০৭:৩৩:১৯

পলাশ উপজেলার হাঁড়িধোয়া নদী পুনর্খনন কাজে ড্রেজার বসিয়ে লাগামহীন বালু উত্তোলনের কারণে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের একটি ব্রিজ হেলে গিয়ে পলাশ ও শিবপুর উপজেলার সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে করে সড়কটি দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হওয়া হাজারো মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। নরসিংদীর অন্যতম নদী হাঁড়িধোয়া। শীতলক্ষ্যা থেকে নরসিংদীর ভেলানগর পর্যন্ত প্রায় ৪১ কিলোমিটার এই নদীতে রয়েছে ছোট-বড় প্রায় ১০-১২টি সেতু এবং এর পাড়ে স্কুল-কলেজসহ আছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া দুই তীরেই রয়েছে অনেক ক্ষুদ্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার ও গ্রাম। 

হাঁড়িধোয়া নদী পুনর্খনন কাজে যেখানেই বালু পাওয়া গেছে, সেখানেই ড্রেজার বসিয়ে ২০-৩০ ফুট গভীর করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। এক একটি স্থানে ৮-৯ মাস ধরে বালু উত্তোলন করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় তা বিভিন্ন স্থানে বিক্রিও করা হয়েছে। এসব বিষয়ে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে একাধিকবার প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি সামাধান। প্রশাসনের উদাসীনতায় হাঁড়িধোয়া নদী পুনর্খনন কাজের নামে লাগামহীন বালু উত্তোলনকারীদের থামানো যায়নি। যার প্রতিফলন হিসেবে পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চরসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে শিবপুর উপজেলার সাধারচর ইউনিয়নে প্রবেশ করার একমাত্র সড়কটির ওপর নির্মিত ব্রিজটি হেলে গিয়ে দুই উপজেলার সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। 

পলাশ উপজেলা প্রকৌশলী অফিস জানায়, ১৯৮০ সালের দিকে উপজেলা প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত ব্রিজটির কাছ থেকে অতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে এর পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে হেলে গিয়ে দুই উপজেলার সংযোগ সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ফলে নতুন করে ব্রিজটি নির্মাণ না করা পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে চলাচল করলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ব্রিজটিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে প্রকৌশলি অফিস। 

জানা গেছে, নরসিংদীর আড়িয়াল খাঁ, হাঁড়িধোয়া, পাহাড়িয়, মেঘনা শাখা নদী, ব্রহ্মপুত্র শাখা নদ পুনর্খননে ৫২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয় সরকার। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে এ প্রকল্পের দায়িত্ব পায় সেনাবাহিনীর ২৪ কনষ্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেড। এপ্রিল ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০১৯ সালের মধ্যে এ কাজ শেষে হওয়ার কথা। প্রকল্প সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। 

এদিকে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় অভিযান চালিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিনুল ইসলাম দু’জনকে আটক করেন। পরে তারা বালু উত্তোলন করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়ে আবার নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। তালতলী বাজার এলাকায় হাঁড়িধোয়া নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনকারী নজরুল নামে এক ব্যক্তি জানান, তিনি সোবাহিনীর কাছ থেকে লিজ এনে বালু উত্তোলন করছেন। তাবে তিনি কোনা কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এব্যাপারে পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান আমি শুনেছি এবং দেখেছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রধান করেছি।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ