পলাশ উপজেলার গজারিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর ও সরিয়ে ফেলার প্রতিবাদে পলাশ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ৩১ জুলাই শনিবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কবির মৃধা ও গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি, বিদায়ী চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ২১ জুন প্রথম ধাপের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী বদরুজ্জামান ভুইয়াকে পরাজিত করে বিএনপি জামাত সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেন চৌধুরী জয়লাভ করেন এবং ২৮ জুলাই নবনির্বাচিত চেয়াম্যান জাকির হোসেন শপথ গ্রহণ করেন। ২৯ জুলাই চেয়ারম্যান জাকির হোসেন চৌধুরীর উপস্থিতিতে তার সমর্থকরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিড়ে ফেলেন এবং পরিষদে থাকা উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের বাঁধানো ছবি, চেয়ারম্যানদের নামের তালিকার বোর্ডসহ ভাংচুর চালায়। এছাড়া বাইরে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্যদের ছবি সম্বলিত ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে গজারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আলমগীর বাদী হয়ে পলাশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে  লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পলাশ উপজেলার আওয়ামিললীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ওবায়দুল কবির মৃধা  এ সময় উপস্থিত ছিলেন নরসিংদী জেলা আ.লীগের সদস্য মাহফুজুল হক টিপু, ঘোড়াশাল পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শরীফুল হক, সাধারণ সম্পাদক এসএম শফি,  উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল গাজী উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আওলাদ হোসেন শেখর  প্রমূখ।

যোগাযোগ করা হলে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. নাসিরউদ্দীন বলেন, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের পর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। গজারিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।