ঢাকা শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
কালোটাকা সাদা করার সুযোগ বন্ধের পরামর্শ সিপিডির
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২১-০৫-০৯ ২৩:১৭:৪৫

২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে নতুন কোনো কর আরোপ বা করহার না বাড়িয়ে প্রশাসনিক দক্ষতায় কর ফাঁকি বন্ধ ও কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের কনভেনার ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

গতকাল নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘জাতীয় বাজেট ২০২১-২২: পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য কী থাকছে’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন।

আগামী বাজেটে নতুন করারোপ না করে কর ফাঁকি বন্ধে প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় বলেন, আগামী বাজেটে নতুন কোনো কর কিংবা করহার বাড়ানো উচিত হবে না। প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে করের আওতা বাড়ানো ও কর ফাঁকি কমিয়ে আনতে হবে। যারা কর দেয় না, তাদের কাছ থেকে কর আদায়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি উল্লেখ করেন, ব্যবসায়িক গোষ্ঠীর সুবিধায় নানা রেয়াতি সুবিধা রয়েছে, যা এখন বাদ দিতে হবে। আবার অভ্যন্তরীণ বাজারে শ্রমঘন শিল্পের ক্ষেত্রে করহার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রাখা জরুরি।

কালোটাকা সাদা করার সুযোগকে যুক্তিহীন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিকভাবে যুক্তিহীন, নৈতিকভাবে গর্হিত ও রাজনৈতিকভাবেও অপকারী হচ্ছে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ এবং পাচার করা অর্থ ফেরত না আনা, কিংবা তাদের জবাবদিহির মধ্যে না আনা। এসব সুযোগ অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত অর্থবছর আমরা এক অদ্ভুত সময়ের মধ্যে পার করেছি। ওই বছর কর আদায়ের হার ও সরকারের ব্যয় কমেছিল। চলতি অর্থবছরেও কর আদায় ও সরকারি ব্যয়ের হার প্রয়োজনের তুলনায় কমেছে। কর আদায় যেখানে হওয়া উচিত ছিল ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে, সেখানে প্রথম ৯ মাসে সাত শতাংশের কিছু বেশি কর আদায় হয়েছে। সরকারি ব্যয় বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নি¤œহারে রয়েছে। যেখানে বাড়ার কথা, সেখানে গত বছরের তুলনায় চার দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি এরই মধ্যে নিয়ে ফেলেছি। বাজেটে ব্যাংক খাত থেকে যেখানে ঋণ নেয়ার কথা ৪৫ শতাংশের নিচে, সেখানে এরই মধ্যে ব্যাংক থেকে ২৮৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ ঋণ নিচ্ছি। অর্থাৎ অন্য ঘাটতিগুলো ব্যাংকের টাকা নিয়ে পূরণ করছি। একইভাবে ব্যাংকবহির্ভূত উৎস থেকেও এরই মধ্যে ২৫২ শতাংশ ঋণ নেয়া হয়ে গেছে। তাহলে আমরা তিন-চার রকমের সমস্যার মধ্যে আছি। কর আদায় বাড়ছে না, সরকারি ব্যয় বাড়ছে না। বাজেট ঘাটতি পূরণে সহজ মাধ্যম বৈদেশিক সাহায্য থেকে না নিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নিচ্ছি।

একই অনুষ্ঠানে এমপিও’র বাইরে থাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের হাজারো শিক্ষক নিয়ে আলোচনা করা হয়। তারা বেতন-ভাতা না পেয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়ছেন। এজন্য ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে তাদের জন্য বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী।

সংলাপে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সিপিডির ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ