উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সৌদি আরব, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর ফাইজারের টিকার অনুমোদন দেয়। এ ছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)।
ইইউর প্রায় ৪৫ কোটি মানুষকে ফাইজারের টিকা দেওয়ার পক্ষে গত ২১ ডিসেম্বর রায় দেয় ইইউর ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ইএমএ)। সংস্থাটি জানায় ফাইজারের টিকা ৯৫ শতাংশ কার্যকর এবং এটি ১৬ থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদের শরীরে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ইএমএ এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ফাইজারের টিকা ব্যবহারের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয় ইইউ। তবে ইইউ অনুমোদন দেওয়ার আগে থেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
এর মধ্যে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে আজ শুক্রবার উল্লেখ করা হয়েছে, জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ভ্যাকসিনের দুই ডোজ এবং এর প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো সম্পর্কে জানানোর জন্য আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।
দরিদ্র দেশগুলোর নিজেদের কোনো নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার সহযোগিতা ছাড়াই সেসব দেশে করোনার ভ্যাকসিন দ্রুততম সময়ে অনুমোদনের জন্য প্রতিষেধকের তালিকা তৈরিতে কাজ করছে ডব্লিউএইচও।
সংস্থাটির পর্যালোচনায় জানা গেছে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের টিকা সুরক্ষা ও কার্যকারিতার দিক থেকে ‘প্রয়োজনীয়’ মানদণ্ডে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্যাভি ভ্যাকসিন জোট ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপ্রেয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য কোভ্যাক্স নামের একটি বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের লক্ষ্য, টিকা শুধু যেন ধনী দেশগুলোতেই না যায়।
বিশ্বের দোরগোড়ায় করোনা ভ্যাকসিনকে নিয়ে আসতে এটি একটি ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন ডব্লিউএইচও কর্মকর্তা মারিয়েঞ্জেলা সিমাও। তিনি আরো বলেন, ‘তবে আমি সব জায়গায় জনগণের চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য বিশ্বব্যাপী আরো বৃহত্তর প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিতে চাই।’