প্রাণঘাতি করোনার দ্বিতীয় দফা আঘাতে ধুকছে ইউরোপের দেশ ইতালি। যেখানে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানি। গত একদিনে আক্রান্তের তুলনায় দ্বিগুণ রোগী সুস্থতা লাভ করেছেন। নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে ৮৮৭ জনের।
ইতালির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডমিটারের নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৯৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে করে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ১৪৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৮৮৭ জন। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬২ হাজার ৬২৬ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা লাভ করেছেন ৩০ হাজার ৯৯ জন রোগী। এতে করে বেঁচে ফেরার সংখ্যা ১০ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৪ জনে পৌঁছেছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফায় করোনা ভয়াবহ রূপ নেয়ায় গত ৬ নভেম্বর জারি করা লকডাউন আবারও বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
ক্রিসমাস ও নববর্ষের মধ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কায় গত বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) নতুন বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়। মধ্যরাতে আগের মতোই চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ্পে কন্তে বলেছেন, ‘নতুন বিধি নিষেধ আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এ সময় কেবলমাত্র ২০ অঞ্চলে চিকিৎসা ও জরুরি সেবা চালু থাকবে।’
এর আগে প্রথম ঢেউয়ে গত মার্চে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখেছিল ইউরোপের দেশটি। নতুন করে তাণ্ডব বাড়ায় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনের পরেই সর্বোচ্চ প্রাণহানি এখন ইতালিতে। দেশটিতে করোনায় প্রাণ হারাদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই উত্তরাঞ্চলীয় শহর লম্বার্ডিয়ার।
এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা ভাইরাস। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২ হাজার ৬২৫ জন।
একই সঙ্গে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ কোটি ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। যদিও সুস্থতা লাভ করেছেন ৪ কোটি ৯১ লাখ ৩২ হাজার রোগী।