অগ্রণী ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার সেবা দানকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকমের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রথমিক প্রমাণ পাওয়ায়, সেবা গ্রহণের চুক্তি থেকে সরে এসেছে ব্যাংকটি। তবে নেয়া হয়নি কোনো আইনি ব্যবস্থা। আগামী দুই মাসের মধ্যে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন দিতে অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
দুর্নীতি-অনিয়ম যেনো পিছু ছাড়ছে না রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর। বেশ কিছু ঋণ কেলেঙ্কারি-খেলাপির পর এবার সামনে এলো, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিটাল সেবায় দুর্নীতির তথ্য। অভিযোগ উঠেছে, জাল আদেশপত্র, নিম্নমানের সেবা ও বাড়তি খরচ নেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়মের।
একের পর এক অভিযোগ সামনে আসার পর কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যার সেবা দানকারী দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিলের ঘোষণা দেয় অগ্রণী ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে দূর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বাদ পরে টেমেনের অধীনে সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ফ্লোরা টেলিকম। তবে এখনো সেবা দিচ্ছে টেমেনস। কেন ফ্লোরা টেমিকমকে বাদ দেয়া হলো, তার কোন জবাব মেলেনি প্রতিষ্ঠানটির কাছে।
এদিকে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবায় দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি আদালতে রিট করেন, অগ্রণী ব্যাংকের দুই আমানতকারী। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং মহিউদ্দিন শামীম এর দ্বৈত আদালত। তদন্ত ভার দেয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংককে।
আদালতের আদেশ মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল ইসলাম।
তিনি জানান, টেমনস আন্তর্জাতিক মানসম্মত প্রতিষ্ঠান , তাই সেবার মানও ভালো।