ঢাকা সোমবার, মে ৬, ২০২৪
ভাস্কর্য ভাঙতে ২ ছাত্রকে মদদ দেন দুই শিক্ষক
  • নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • ২০২০-১২-০৭ ০২:৫৩:৪৯

কুষ্টিয়ায় রাতের আঁধারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে মাদ্রাসার দুই ছাত্র ভাংচুর করে এবং ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাদের মদদ দেয়।

আজ (রোববার) বিকেলে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন্সে এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মহিউদ্দিন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে ও রোববার ভোরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হচ্ছেন-কুষ্টিয়া শহরের জুগিয়া পশ্চিমপাড়া ইবনে মাস্উদ (রা.) মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) ও সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০) এবং শিক্ষক আল-আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলী (২৬)।

মিঠুন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শিংপুর মৃধাপাড়া এলাকার সমসের মৃধার ছেলে এবং সবুজ দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর গোলাবাড়িয়া এলাকার সামছুল আলমের ছেলে। আর গ্রেফতার শিক্ষক আল-আমিন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে এবং ইউসুফ আলী পাবনা জেলার আমিনপুর থানার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে।

ডিআইজি খন্দকার মহিউদ্দিন জানিয়েছেন, গ্রেফতার দুই মাদ্রাসা ছাত্র পুলিশকে জানিয়েছেন ইসলামি বক্তা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের বয়ান শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করেন।

এই চারজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে ডিআইজি বলেন, স্পর্শকাতর এই ঘটনা ঘটার পর সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে পুলিশের সব ইউনিটকে কাজে লাগানো হয়। প্রথমে মাদ্রাসা ছাত্র দুই সহোদরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা ভিডিও দেখে ভাষ্কর্য ভাঙায় অংশ নেয়া দুই জনকে চিনতে পারেন। পরবর্তীতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে পুলিশ হামলায় অংশ নেয়া দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন নাহিদ ও মিঠুন। মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক ও ফয়জুল করিমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানান।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় একই মাদ্রাসার দুই শিক্ষক তাদেরকে পালাতে ও সাহস জুগিয়ে সহযোগিতা করেছে। মদদ দেওয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক আল আমিন (২৭) ও ইউসুফ আলীকে (২৬) গ্রেফতার করে।

সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি খন্দকার মহিউদ্দিন দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, দেশের বিরুদ্ধে এবং দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদের ওপর যে বা যারা আঘাত হানবে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। এ ঘটনার পেছনে কারা আছে, কারা ইন্ধন দিয়েছে, নেপথ্যে কেউ জড়িত রয়েছে কি-না পুলিশ সেসব বিষয়ও খতিয়ে দেখছে।

বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলেই জন্মেছে এ দেশ -হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি
অপ্রতিরোধ্য বাজার সিন্ডিকেট: মজুতের শাস্তি আটকে আছে বিধিতে
ডাইফ সেবা সপ্তাহ শুরু আজ
সর্বশেষ সংবাদ