বেশ কয়েকটি পরীক্ষার পর্যালোচনার ভিত্তিতে ওষুধটি রোগীদের সুস্থ করে তুলতে পারে না বলে জানায় ডব্লিউএইচও। করোনা মহামারি চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের কার্যকারিতা সাড়া ফেলে বিশ্বজুড়ে। এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই ওষুধ ব্যবহারে জোর দিয়েছিলেন।
এরই মধ্যে হু জানালো, এই মেডিসিনের কোন কার্যকারিতা নেই। করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির ব্যবহার না করতে পরামর্শও দিয়েছে ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ্যার একদল বিশেষজ্ঞ বিএমজি’এর এক প্রতিবেদনে জানান, ‘রেমডিসিভির প্রয়োগে শেষ পর্যন্ত কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। রোগীদের উপরে প্রয়োগে পরও সুস্থতার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’
তারা আরো জানায়, করোনার চিকিৎসার জন্য রোগীদের ‘রেমডিসিভির’ দেওয়া যাবে না। কারণ এই ওষুধ ব্যবহারে করোনায় মৃত্যুর হার কমেছে বা রোগীদের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন কমেছে বলে এমন কোনও প্রমাণ নেই।
করোনা চিকিৎসায় রেমডিসিভির বেশ কার্যকরী। প্রাথমিক ট্রায়ালের পর এমনটাই দাবি করেছিল বায়োটেকনোলজি কোম্পানি গিলেড। রেমডিসিভির সাড়া ফেলেছিল গোটা বিশ্বে। তবে এই ওষুধ ব্যবহার নিয়ে শুরু থেকেই তর্ক বিতর্ক ছিল। বিশ্ব জুড়ে যে দু’টি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ কোভিডের চিকিৎসায় ছাড় পেয়েছিল তার মধ্যে রেমডিসিভির একটি। কিন্তু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর এর কার্যকারিতা নিয়ে আপত্তি জানালো ডব্লিউএইচও।
বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের ১১ হাজার ২৬৬ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালানোর পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
ডব্লিউএইচও'র এই বিবৃতির পর এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বায়োটেকনোলজি কোম্পানি গিলেড। এক বিবৃতিতে পাল্টা তারা জানিয়েছে, ‘আমরা ডব্লিউএইচও'র এই সিদ্ধান্তে হতাশ। কারণ সারা বিশ্বে করোনার সংখ্যা যখন দ্রুত হারে বাড়ছিল, যখন চিকিৎসকরা এই ওষুধের উপর ভরসা করছিলেন। এখন এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তারা।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের গিলিয়ার্ড সায়েন্স কোম্পানির অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ করোনা চিকিৎসায় জরুরি ভিত্তিতে রেমডিসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছিল আমেরিকার ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন।